গণঅভ্যুত্থান, সেনাবিহিনী এবং আমাদের এখনকার বাস্তবতা শিরোনামে আজ সোমবার (২৪ মার্চ) ফরহাদ মজাহার তার ফেরিভায়েড ফেসবুক পেইজে বিস্তারিত কথা বলেন।
ফরহাদ মজাহারের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি ওটিএন বাংলার পেজে তুলে ধরা হলো।
১.
হাসনাত আব্দুল্লাহ’র ফেইসবুক স্ট্যাটাস (২১ মার্চ রাত ১: ৪৪টা) নিয়ে তুলকালাম চলছে কয়েকদিন ধরে। এই স্ট্যাটাস এমন সময় এসেছে যখন প্রধান উপদেষ্টার চিন যাবার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ও ভূরাজনৈতিক ইস্যু হিশাবে সামনে রয়েছে এবং প্রবল প্রকট উলঙ্গ ভাবে ভারতীয় গণমাধ্যম সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশৃংখলা ও সেনা অভ্যুত্থান ঘটাবার জন্য তৎপর রয়েছে। এমনই একটা সময়ে হাসনাত জানিয়েছেন সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে (বা সোহেল তাজকে) সামনে রেখে “রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ” বানানো ও পুনর্বাসনের পরিকল্পনা চলছে এবং সেটা করছে সেনাবাহিনী। হাসনাত জানিয়েছেন তাদেরকে ডেকে নিয়ে গিয়ে একথা বলা হয়।
পরে সারজিস তার পোস্টে “স্পষ্ট করে” জানিয়েছেন, “সেনানিবাসে আমাদের ডেকে নেওয়া হয়নি বরং সেনাপ্রধানের মিলিটারি এডভাইজারের সাথে যখন প্রয়োজন হতো তখন ম্যাসেজের মাধ্যমে আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর আদান-প্রদান হতো।
সারজিস আরও লিখেছেন, “আমার জায়গা থেকে আমি সেদিনের বক্তব্যকে সরাসরি ‘প্রস্তাব’ দেয়ার আঙ্গিকে দেখিনা বরং ‘সরাসরি অভিমত প্রকাশের’ মতো করে দেখি। ‘অভিমত প্রকাশ’ এবং ‘প্রস্তাব দেওয়া’ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে”।
তবে এর আগে হাসনাত জানিয়েছিলেন, ১১ই মার্চ, সময় দুপুর ২: ৩০ টার সময় তিনি সহ আরও দুইজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করে বলা হয়, আসন সমঝোতার বিনিময়ে যেন ছাত্র-তরুণদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP) এই প্রস্তাব মেনে নেয়। নিশ্চিত করা হয় ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দল শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা না-কি ভালো।রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ যাদের দিয়ে করা হবে, তারা এপ্রিল-মে থেকে শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে, হাসিনাকে অস্বীকার করবে এবং তারা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করবে এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে।
সারজিস আলমের পোস্ট ছাড়াও নেত্র নিউজকে দেয়া সেনাসদরের এক বিবৃতিতে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে, সেনানিবাসে খোদ সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গেই ১১ই মার্চ বৈঠকটি হয়েছিল। তবে হাসনাত আব্দুল্লাহকে সেনাপ্রধান বা সেনাবাহিনী ডেকে নিয়ে যায় নি। “আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদেরকে প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগে”র অভিযোগও আসলে ঠিক নয়। হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার দলের আরেক মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের আগ্রহেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল বলে সঠিক ভাবেই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। আশা করি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ছাত্র-তরুণদের বিরোধ ও দূরত্ব এখানেই শেষ হবে।
আগাম সতর্কতা হিশাবে চিন সফরের কথা মনে রেখে এবং ভারতীয় গণমাধ্যম এবং দিল্লীর প্ররোচনা নস্যাৎ করার জন্য আমরা এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে দূরত্ব কমাবার কথা বলেছি। এখন ছাত্র-তরুণদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর দূরত্ব বাড়াবার মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীতে উচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং সেনা অভ্যুত্থানের উসকানি দেবার চেষ্টায় যারা ঘি ঢালছেন তাঁরা দেশ ও দশের কথা ঠাণ্ডা মাথায় ভাববেন আশা করি।
আমার এ লেখাটি কয়েক কিস্তিতে পেশ করব। আশা করি গঠনমূলক আলোচনা-পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে আমরা এখনকার কর্তব্য নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বিচক্ষণ হব।
২.
ওদিকে আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ডক্টর ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিশাবে সেনাপ্রধান চান নি, কারণ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা এবং শাস্তির রায় ছিল। আসিফ একথা এখন বলছেন কেন? এটা পুরাপুরি ঠিক কিনা সেটা সেনাপ্রধান নিজে মুখ না খুললে আমরা জানবো না।
মনে করিয়ে দিচ্ছ, ৫ থেকে ৮ তারিখের প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু ডক্টর ইউনূস ছিলেন না, সেটা ছিল ছাত্র-তরুণরা একটি অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠন করবে নাকি শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে আধা-খেঁচড়া অবৈধ সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার গঠন করবে?
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধান সুরক্ষার শপথ নিয়ে, প্রেসিডেন্ট হিশাবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে রেখে এবং শেখ হাসিনার নিযুক্ত তিন বাহিনীর প্রধানকে স্ব স্ব পদে রেখে সেনাসমর্থিত উপদেষ্টা সরকার গঠনের আইডিয়াটা আসলে কার? এই আইডিয়ার সঙ্গে কি মাহফুজ, নাহিদ বা আসিফ জড়িত? যদি না থাকেন তাহলে তারা এ ধরনের সেনাসমর্থিত উপদেষ্টা সরকারে যোগ দিলেন কেন?
এখন আবারও বলি, পূর্ণ ক্ষমতা সম্পন্ন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সুযোগ তখনও ছিল, এখনও রয়েছে, যদি সেনাবাহিনীকে আমরা আস্থায় আনতে চেষ্টা করি এবং বাংলাদেশকে নতুন ভাবে গঠন করবার গুরুত্ব বোঝাতে পারি। কিন্তু মাহফুজ, নাহিদ, আসিফ এবং ছাত্র-তরুণদের সামনের সারির কোন নেতাই আজ অবধি এই বিষয়টা আমাদের ব্যাখ্যা করে বলেন নি, কেন আমাদের বিপজ্জনক আধাখেঁচড়া সেনা সমর্থিত অবৈধ সরকার এখনও মেনে নিতে হচ্ছে?
শুধু তাই নয় আঞ্চলিক ও ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা বিচার করলে শেখ হাসিনার সংবিধান বহাল রাখলাম, অথচ একটি সাংবিধানিক অবৈধ সেনা সমর্থিত সরকার গঠন করলাম – এই পরিস্থিতি ভয়ানক বিপদের মধ্যে বাংলাদেশের জনগণকে ফেলে রাখা হয়েছে। এর দায় কার? কে নেবে? এখন কি আমরা নির্বাচনবাদি রাজনৈতিক দল গঠন করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গোড়ার সমস্যা সমাধান করতে পারব? সেনাপ্রধান যদি ‘অবৈধ’ উপদেষ্টা সরকারের মতো বিপজ্জনক ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নির্বাচনের কথা বলে থাকেন, তাহলে তাঁকে আমি দোষারোপ করব কোন যুক্তিতে। তাঁকে কি আমরা কোন বিকল্প দিয়েছি?
৩.
শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও বংশের লোকজন বাদ দিয়ে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ বানানো আদৌ সম্ভব কি? সেটা গুরুতর প্রশ্ন। ফলে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের চিন্তা অবাস্তব বলেই আমাদের বাদ দেওয়া উচিত। দ্বিতীয়ত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সমাজের চিন্তাচেতনা এবং ক্ষমতার সমীকরণে বিপুল পরিবর্তন ঘটেছে। সেনাবাহিনীর এবং সেনা নেতৃত্বের মধ্যে ইতিবাচক রূপান্তরের অভিব্যক্তি জনগণকে পরিষ্কার বুঝতে দিতে হবে।
আওয়ামী লীগ গণশত্রু হিশাবে চিহ্নিত। মনে রাখতে হবে, গণঅভ্যুত্থানকে সম্পূর্ণ করতে দেওয়া হয় নি, তার দায় ছাত্রজনতার নেতৃত্বকে যেমন, তেমনি আংশিক দায় সেনাবাহিনীকেও নিতে হবে। তবে ছাত্র-তরুণদের ক্রমাগত একের পর এক আপোষ করতে বাধ্য করা হয়েছে – তার কুফল নানাভাবে রাজনীতিতে পড়তে বাধ্য।
এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের যে কোন আলামত বা চিন্তাই জনগণের কাছে খুবই সংবেদনশীল ইস্যু।
তাছাড়া ৫ই অগাস্টের আগের ক্ষমতাবান আওয়ামী লীগ আর ৫ই অগাস্টের পরে উৎখাত হয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ এক নয়। তাদের পুরানা দাপটের কথা ভেবে তাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করবার চিন্তাও সঠিক নয়। ফ্যাসিস্ট শক্তি এবং ফ্যসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিরোধী গণচেতনার বিপরীতে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগকে আগামি নির্বাচনে পুনর্বাসনের চিন্তা তাই অবশ্যই বাদ দিতে হবে। হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্ট আমি সেভাবেই পড়েছি।
তাছাড়া দেখেছি আমাদের আরেক তরুণ নেতা নাসিরুদ্দিন পাটয়ারি বলেছেন, ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনাকে প্রকাশ্যে আনা ঠিক হয় নি। এই বক্তব্যের মধ্যে নাসিরের রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় রয়েছে। আমরা ভুল-ত্রুটি থেকেই শিখব, মাথা গরম করে নয়।
৪.
বাংলাদেশের রাজনীতির সংকট আমরা ধরতে ও মীমাংসা করতে পারব না, যদি রাজনৈতিক দল আর জনগণকে আমরা একই কাতারে ভাবি। এই সাধারণীকরন যেমন সেনাপ্রধানের চিন্তার মধ্যে আছে, তেমনি সেটা প্রধান উপদেষ্টার ‘জাতীয় ঐক্যমত’ নামক ধারণা এবং সমাজের এলিট বা অভিজাত শ্রেণীর নেতৃত্বে বিবিধ কমিশন গঠন করে একটা সংস্কারের ফর্মুলা পেশ করার মধ্যেও প্রকট ভাবে বিদ্যমান।
এর মানে কি? ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিরোধী যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল, সেই ঐক্য ধরে রাখবার কোন আন্তরিক প্রচেষ্টা আমরা কোত্থাও দেখছি না। আমরা সকলেই শুধু নির্বাচনের কথাই ভাবছি। গণঅভ্যুত্থানকে ইতোমধ্যেই কবর দিয়ে ফেলেছি। জনগণের দিক থেকে এই হাল বুমেরাং হতে পারে। জনগণ উপদেষ্টা সরকার ও সেনাবাহিনী উভয়ের প্রতি আস্থা হারাতে শুরু করেছে।
রাজনৈতিক দলের প্রতি জনগণের আস্থা আগেও ছিল না, এখনও নাই। যদি থাকত, রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বেই গণঅভ্যুত্থান হোত। কিন্তু ছাত্র-তরুণরা প্রচলিত নির্বাচনবাদি রাজনৈতিক দলের আদলেই তাদের নতুন দল বানিয়েছে – তাদের রাজনীতির প্রতিও জনগণ খুব আশাবাদী হতে পারছে না। তারা ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছে। কথার ফুলঝুরি ও জুলাই অভ্যুত্থানের আগের আবেগ দিয়ে নতুন পরিস্থিতিতে জনগণের মন জয় করা যাবে না।
৪.
ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিরোধী জনগণের ঐক্যের বিপরীতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা ড. ইউনূসের লক্ষ্য হতে পারে না, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত জনগণের অভিপ্রায় বাস্তবায়িত করাই তাঁর দায়িত্ব। লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে জনগণের মধ্যে ঐক্য মজবুত না রেখে রাজনৈতিক বিভক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া সঠিক কৌশল নয়।
গণঅভ্যুত্থানকে যদি রাজনৈতিক দলগুলো স্বীকার করে তাহলে সবার আগে দরকার তাদের নিজেদের সংস্কার। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সংস্কার করছে না এবং করবে না। অন্যদিকে ড. ইউনূস তিনি তাঁর ঐতিহাসিক ভূমিকা এখনও বুঝেছেন বলে মনে হয় না। নিজেদের সংস্কার করতে অনিচ্ছুক রাজনৈতিক দলগুলোকে তুষ্ট করে তড়িঘড়ি নির্বাচন দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার নীতি হিশাবে তিনি গ্রহণ করেছেন। জনগণ এটাই বুঝতে শুরু করেছে। তিনি বুঝতে পারছেন না রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার বিষয়ে ঐক্য আর ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিস্ট শক্তি আর ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য এক কথা নয়। এই দুইয়ের মধ্যে তিনি পার্থক্য করছেন না। এটা বিপজ্জনক এবং জনগণকে হতাশ করে দেবার জন্য যথেষ্ট।
এই হতাশার মধ্যেই ফ্যাসিস্ট শক্তি পুনর্বাসিত হওয়া শুরু করেছে এবং উপদেষ্টা সরকারের প্রতি জনগণ আস্থা হারাতে আরম্ভ করেছে। এতো আত্মত্যাগের পরও আমরা এখনও এই মৌলিক পার্থক্য করতে শিখি নি। অথচ এই পার্থক্য করবার ক্ষমতাই গণসার্বভৌমত্বের নীতির ভিত্তিতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার সর্ব প্রথম – অর্থাৎ এক নম্বর শর্ত। জনগণ আর রাজনৈতিক দল সমার্থক নয়। একও নয়। ড. ইউনূসকে জনগণই ক্ষমতায় বসিয়েছে, কোন রাজনৈতিক দল নয়।
কিন্তু তিনি ইতোমধ্যেই জনগণকে ভুলে গিয়েছেন। অথচ গণঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোন অন্যথা হলে আমরা কখনই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়তে পারব না। দিল্লী সেই সুযোগের জন্যই ওৎ পেতে আছে। হাসনাতের পোস্ট ভাইরাল হওয়া জনগণের হতাশার অনুরণন হিশাবে পড়তে জানতে হবে। হাসনাতকে শাসন করা উচিত, সেটা তার কমরেডরাই করছেন, কিন্তু সেনাবাহিনীসহ আমাদের সকলের ভুলগুলো আমাদের নিজেদেরই বুঝতে ও শোধরাতে হবে।