অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকরা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আগের তুলনায় আরো দ্রুত ও সহজে ভ্রমণ করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ‘গ্লোবাল এন্ট্রি’ সদস্যপদ কর্মসূচির আওতায় এই সুবিধা পাওয়া যাবে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা সত্ত্বেও, অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ১৯টি বিশ্বস্ত অংশীদার দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
এই প্রোগ্রামের আওতায়, যোগ্য অস্ট্রেলিয়ানরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের দ্রুত প্রক্রিয়ার সুবিধা পাবেন। এছাড়াও, তারা ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ) প্রি-চেকেরও যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
গৃহ বিষয়ক মন্ত্রী টনি বার্ক বলেন, “এই উদ্যোগ অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের জন্য লাইনে অপেক্ষা কমিয়ে কাজ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ার সুযোগ বাড়াবে।”
গত জানুয়ারিতে সীমিত সংখ্যক অস্ট্রেলিয়ান প্রথম ধাপে এই প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পেরেছিলেন। নতুন আইন পাসের মাধ্যমে জুলাই থেকে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে, যেখানে সব অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের জন্য আবেদনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী পেনিওং বলেন, “এটি আমাদের দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতারই প্রমাণ।” তার এই মন্তব্য এমন এক সময়ে আসে, যখন যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়াকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শুল্ক থেকে অব্যাহতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত কেভিন রাডের প্রচেষ্টাকে এই সাফল্যের কৃতিত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী পেনিওং।
যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পিট ফ্লোরেস এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “প্রতিদিন ১০ লাখেরও বেশি যাত্রী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এই চুক্তি দুই দেশের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর ভ্রমণের প্রতিই আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকারের প্রতিফলন।”
যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল এন্ট্রি প্রোগ্রামের অন্যান্য অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ডোমিনিকান রিপাবলিক, জার্মানি, জাপান, ভারত, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, পানামা, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, তাইওয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাজ্য।