ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছেন। গত সপ্তাহে রাফাহর কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারানো ১৫ জন জরুরি কর্মীর মরদেহ প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) উদ্ধার করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির “চূড়ান্ত পর্যায়ে” পৌঁছাতে হামাসকে অবশ্যই “অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে”, তাদের নেতাদের নির্বাসনে যেতে হবে এবং গাজার নিরাপত্তা দায়িত্ব ইসরায়েলের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০,২৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১৪,০৯৫ জন আহত হয়েছেন। গত দুই মাস আগে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০-এর বেশি বলে হালনাগাদ করে জানিয়েছিল, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হাজার হাজার মানুষকে নিহত হিসেবেই ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে হওয়া হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০-এর বেশি মানুষকে হোস্টেজ হিসেবে আটক করা হয়েছিল।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র রাফাহ শহরের বাসিন্দাদের জন্য নতুন করে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সেখানে শীঘ্রই “তীব্র যুদ্ধ অপারেশন পুনরায় শুরু করা হবে”। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিও এই নির্দেশকে “যুদ্ধ পুনরায় শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির আদেশ” হিসেবে বর্ণনা করেছে।