মেলবোর্ন, ১৬ এপ্রিল— ফেডারেল নির্বাচনের জন্য ডাকযোগে ভোট দেওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন কমিশন—এইসি (AEC)। মূলত দেশের বাইরে থাকাসহ নানান অক্ষমতার জন্য সরাসরি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন না অনেক নাগরিক। তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার রক্ষার জন্য ডাকযোগে ভোট দেওয়ার এই ব্যবস্থা।
আগামী ৩ মে অস্ট্রেলিয়ায় ফেডারেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে দেশটিতে ৪৮তম পার্লামেন্ট গঠিত হবে। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ১৫০টি আসন এবং সিনেটের ৭৬টির মধ্যে ৪০টি আসনের জন্য ভোট গ্রহণ করা হবে। ডাকযোগে, কিংবা অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাস বা হাইকমিশনের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা যাবে।
ডাকযোগে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া ও তথ্য নিজস্ব ওয়েবসাইটে তুলে ধরেছে এইসি।
সংস্থাটি বলছে, ভোটারকে অবশ্যই নির্বাচন চলাকালীন সময়ের মধ্যে মধ্যে ভোট দিতে হবে। আর এই ভোটটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনের ১৩ দিনের মধ্যে ব্যালট পেপার ডাকযোগে কমিশনে পাঠাতে হবে। অন্যথায় ভোট গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। ডাক ভোটের আবেদনপত্র নির্বাচনের আগের বুধবার অর্থাৎ ২৩শে এপ্রিল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বন্ধ হয়ে যাবে।
অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন কমিশন (এইসি) ডাকযোগে ভোট দিতে চাওয়া ইচ্ছুক নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছে, কেউ যেন কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর পাঠানো ডাক ভোটের ফর্ম ব্যবহার না করেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনুরোধ ছাড়াই ইমেল, এসএমএস বা সরাসরি ডাকবাক্সে পাওয়া ডাক ভোটের আবেদনপত্র কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো হয় না। এসব ফর্ম রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীরা পাঠিয়ে থাকেন। তারা সাধারণত ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে পরে কমিশনে জমা দেয়। এতে আবেদনকারীর গোপনীয়তা ঝুঁকির পাশাপাশি আবেদন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হতে পারে বলে সতর্ক করেছে এইসি।
অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন কমিশন সরাসরি আবেদনের জন্য ভোটারদের নিজস্ব ওয়েবসাইট (https://www.aec.gov.au/election/pva.htm) ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছে। এর মাধ্যমে ভোটারদের তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং আবেদন সময়মতো পৌঁছানোর নিশ্চয়তা মিলবে। ডাক ভোটের জন্য যোগ্য ভোটারদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব AEC-এর অফিসিয়াল লিংকের মাধ্যমে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থোনি অ্যালবানিজি লেবার পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনর্নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করছেন।
আর, বিরোধী দলীয় নেতা পিটার ডাটন নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিবারাল-ন্যাশনাল কোয়ালিশনের এবং সরকারে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন।
এই নির্বাচনে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার শেষ সুযোগ ছিল ৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা পর্যন্ত।