এই মৌসুমটা দারুণ কাটছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর। তবে একটাই খুঁত ছিল, ঘরের মাঠে জিততে পারছিল না বিরাট কোহলিরা। নিজেদের ডেরায় টানা তিন ম্যাচ হারে দলটি। হতাশাজনক ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পর অবশেষে বেঙ্গালুরু চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দুইশর বেশি রান করতে সক্ষম হয় এবং এক রোমাঞ্চকর জয় পায় রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের বিনিময়ে পায় ২০৫ রানের পুঁজি। সেই রান তাড়া করতে নেমে সুবিধাজনক জায়গা থেকেও ১১ রানে ম্যাচ হারে রাজস্থান। ম্যাচে ৭০ রানের ইনিংস খেলা কোহলি এই রাতে ছাড়িয়ে গেলেন বাবর আজমের একটি রেকর্ড।
ফিল সল্ট ও কোহলির উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬১ রান। দ্বিতীয় উইকেটে দেবদূত পাডিকাল নিয়ে কোহলি গড়েন আরও ৯৫ রানের জুটি। ফিফটি করেন দুজনই। পাডিকাল করেন ২৭ বলে ৫০। কোহলি খেলেন ৪২ বলে ৭০ রানের ইনিংস। ৩২তম বলে ফিফটি ছুঁয়ে কোহলি গড়েন নতুন রেকর্ড। আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগসহ সব ধরনের স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে সবচেয়ে বেশি ৬২টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছেন কোহলি। এতদিন ৬১টি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলে এই রেকর্ড ছিল বাবরের।
রান তাড়ায় যশস্বী জয়সোয়ালের তাণ্ডবে দারুণ শুরু হয় রাজস্থানেরও। জয়সোয়াল ১৯ বলে ৪৯ রান করে ফেরার পর ধ্রুব জুরেল দলের জয়ের আশা টিকিয়ে রাখেন। তবে এই ব্যাটার ৩৪ বলে ৪৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলে আশার প্রদীপ নিভে যায় দলটির। শেষ ১২ বলে ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৮ রান দরকার থাকলেও রাজস্থান সেটি তুলতে পারেনি। বেঙ্গালুরুর হয়ে জস হ্যাজলউড তুলে নেন ৪টি উইকেট এবং ক্রুনাল পান্ডিয়ার শিকার ২টি।
ম্যাচ শেষে কোহলি, “আমরা ঘরের মাঠে তিনটি গড়পড়তা ম্যাচ খেলেছি এবং ব্যাটিং ইউনিটে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যে, আমাদের কী কী ঠিক করতে হবে। আজ আমরা বোর্ডে ভালো রান তুলতে পেরেছি। আমরা অনুভব করছিলাম যে পিচটা স্কোরবোর্ডে যেরকম দেখা যাচ্ছিল, ততটা সহজ ছিল না।