মেলবোর্ন, ২৮ এপ্রিল—গত মার্চ মাস থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সব ধরনের সাহায্য পৌঁছানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। গত আট সপ্তাহে ২৩ লাখ মানুষের কাছে কোনো খাবার, পানি বা ওষুধ পৌঁছাতে দেয়নি তারা।
এ অবস্থায় জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের কাছে সাহায্য পৌঁছানোর বিষয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ইসরায়েলের দায়িত্ব নিয়ে শুনানি শুরু করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ও আল-জাজিরা জানিয়েছে, এটি ২০০৪ সাল থেকে তৃতীয় পরামর্শমূলক মতামত মামলা, যা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইসরায়েলের লঙ্ঘন নিয়ে বিশ্ব আদালতে শুনানি হচ্ছে।
এই মামলা ইসরায়েল কর্তৃক ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরওএ) নিষিদ্ধ করার ফলে শুরু হয়েছিল, যা বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ সৃষ্টি করে এবং ইসরায়েলকে জাতিসংঘ থেকে বের করে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কারণ এটি জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন সনদ লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল, বিশেষত জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর জন্য যে অধিকার এবং প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, আইসিজের শুনানিগুলি একযোগে হচ্ছে, যখন ইসরায়েল ২ মার্চ থেকে গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর উপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে ৫০ দিনেরও বেশি সময় এবং সামরিক হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি করেছে। ১৮ মার্চে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘনের পর হাজারের বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
প্রায় ৪০টি দেশ, যার মধ্যে ফিলিস্তিনও রয়েছে, ২৮ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত আদালতের সামনে প্রমাণ উপস্থাপন করছে।
আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ইরিক বিজর্গে বলেন, ‘যারা আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং জাতিসংঘে বিশ্বাস করেন এবং একতরফা পদক্ষেপ এবং ধ্বংসের বিরুদ্ধে এগুলো রক্ষা করতে চান, তাদের জন্য এই মামলার চেয়ে অন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না।’
অনেক সংখ্যক অংশগ্রহণকারী দেশ বলছে যে, জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী Unrwa (United Nations Relief and Works Agency for Palestine Refugees)-কে প্রতিটি সহায়তা দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে ইসরায়েলের।
তবে একটি ছোট গ্রুপ, যাদের মধ্যে ইসরায়েল, হাঙ্গেরি এবং যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্ভুক্ত। তারা এই সংখ্যাগরিষ্ঠ অবস্থানের বিরুদ্ধে যুক্তি তুলছে।