মেলবোর্ন, ১ মে—পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে ভারত। এ বার আরও কড়া পদক্ষেপ করল নয়াদিল্লি। সূত্র বলছে, পশ্চিম সীমান্তে আধুনিক জ্যামার বসানো হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানি সেনার বিমান যে ‘গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’ (জিএনএসএস) ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান স্থির করে, তা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতাও কমিয়ে দেবে।
নয়াদিল্লির একটি সূত্র বলছে, পাকিস্তানের সেনাবিমান লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান জানার জন্য জিপিএস (আমেরিকা), গ্লোনাস (রাশিয়া), বেইডু (চিন)— এই তিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এগুলো উপগ্রহের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান জানতে পেরে। এবার এই তিন প্রযুক্তিকেই ঠেকিয়ে দিতে পারে ভারতের জ্যামিং প্রযুক্তি, এমনটাই দাবি করছে ওই সূত্র। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে পাকিস্তান সেনা তার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে ব্যর্থ হতে পারে। সেই লক্ষ্যবস্তুর বিষয়ে যথাযথ তথ্য থেকেও বঞ্চিত হতে পারে তারা।

বুধবার রাতেই কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। একটি ‘নোটিস টু এয়ার মিশন’ (এনওটিএএম) জারি করে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানে নথিভুক্ত বিমান বা পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।”
এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়াগামী পাকিস্তানের বিমানগুলি সমস্যায় পড়বে। গন্তব্যে পৌঁছতে তাদের অতিরিক্ত এক-দু’ ঘণ্টা সময় লাগবে। জ্বালানিও পুড়বে অনেক বেশি। ফলে সফরের খরচ বৃদ্ধি পাবে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশির ভাগই পর্যটক। এ জন্য পাকিস্তানকেই দায়ী করেছে ভারত। তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল, পাকিস্তানি নাগরিকদের স্বল্পমেয়াদি, মেডিক্যাল ভিসা বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার পরে পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে কিছু কড়া পদক্ষেপ করেছে। তাদের আকাশসীমা ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ করেছে।
এবার ভারতও একই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সেখানেই থামেনি, পশ্চিম সীমান্তে জ্যামারও লাগিয়েছে তারা। সূত্র: আনন্দবাজার।