মেলবোর্ন, ০৯ মে— পাকিস্তানের দিকে উড়ে আসা ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল পিটিভি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে।
মোট দুই দফায় ড্রোনগুলো ধ্বংস করা হয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ২৯টি ও রাতের বেলায় ৪৮টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ভারত যেসব ড্রোন ছুঁড়েছে তা ইসরায়েলে নির্মিত হারপ ড্রোন।
এই ড্রোনগুলো ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃক নির্মিত একটি ‘লোইটারিং মিউনিশন’ বা ‘সুইসাইড ড্রোন’। এটি ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট এলাকায় ঘুরে বেড়িয়ে লক্ষ্য শনাক্ত করে এবং অপারেটরের নির্দেশে নিজেকে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে।
হারপ ড্রোনে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল, ইনফ্রারেড, ফরওয়ার্ড-লুকিং ইনফ্রারেড সেন্সর এবং রঙিন সিসিডি ক্যামেরা রয়েছে, যা লক্ষ্য শনাক্তকরণ ও আক্রমণে সহায়তা করে।
এটি ট্রাক বা নৌযান থেকে সহজে উৎক্ষেপণযোগ্য এবং লক্ষ্যবস্তু না পেলে ঘাঁটিতে ফিরে আসতে সক্ষম।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ৬-৭ মে রাতে পাঁচটি যুদ্ধবিমান হারানোর পর ভারতীয় বিমান বাহিনী পুনরায় মানবচালিত বিমান মিশন চালাতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
নিরাপত্তা সূত্র এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের কাছে আরও দাবি করে, ভারত এই ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের সামরিক ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে অভ্যন্তরীণ জনমতকে শান্ত রাখতে চাচ্ছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা প্রতিটি আগ্রাসনের জবাব ‘দৃঢ় ও সমানুপাতিক’ভাবে দিচ্ছে। ভারতের জন্য এটি একটি বড় লজ্জার বিষয় ছিল, যখন তারা পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় কিন্তু পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাঁচটি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে তিনটি আধুনিক রাফাল হারায়।
নয়াদিল্লি রাফাল বিমান হারানোর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা অন্তত দুইটি রাফাল যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
এ ছাড়াও একজন জ্যেষ্ঠ ফরাসি গোয়েন্দা কর্মকর্তা সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন রাফাল বিমান পাকিস্তান দ্বারা গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
কিছু বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, দুই দেশের মধ্যে এই সংঘর্ষ চীনা ও পশ্চিমা সামরিক প্রযুক্তির একটি পরীক্ষা হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে ভারতের রাফাল বহরের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের চীন থেকে জে-১০সি বিমান সংগ্রহের পর।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, চীনের নির্মিত জে-১০সি বিমানগুলো অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে। যা আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।