
লেখা – মাধবী চক্রবর্তী, ঢাকা
প্রকাশকাল, মেলবোর্ন, মে ১১, ২০২৫ – “একজন মা হাজার শিক্ষকের সমান।” মা — একটি শব্দ নয়, একটি আবেগ। মা হলেন সেই মানুষ, যার কোলেই আমরা প্রথম নিরাপত্তা খুঁজি, যাঁর কণ্ঠস্বর আমাদের প্রথম শান্তির ঠিকানা। মা শুধুমাত্র সন্তান জন্ম দেন না, তিনি একটি জীবন গড়ে তোলেন, একটি ভবিষ্যৎ নির্মাণ করেন।
বিশ্ব মা দিবস উদযাপিত হয় মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশের দিন হিসেবে। তবে মায়েদের অবদান এক দিনের নয়, প্রতিটি দিনের। সমাজ গঠনে একজন মায়ের ভূমিকা মৌলিক ও অমূল্য। তিনি সন্তানের প্রথম শিক্ষক, মানবিক মূল্যবোধের প্রথম দীক্ষাগুরু, সহমর্মিতার প্রেরণাদাত্রী।
একজন মা তাঁর পরিবারকে ভালোবাসা, যত্ন ও আত্মত্যাগে আগলে রাখেন। সকাল থেকে রাত—তাঁর কাজের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। তাঁর ক্লান্তি থাকে না, অভিযোগ নেই, থাকে কেবল হাসিমাখা মুখ আর স্নেহের ছায়া। কর্মজীবী হোন বা গৃহিণী, প্রত্যেক মা-ই তাঁর পরিবারে একজন অদৃশ্য স্তম্ভ, যিনি নীরবে সমাজ ও ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছেন।
বর্তমান সমাজে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পেছনেও মায়েদের উৎসাহ, সাহস এবং পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক মা নিজে পিছিয়ে থেকে সন্তানের স্বপ্ন পূরণের পথ করে দেন। তাঁদের এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানানোর জন্য একটি দিন যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন প্রতিটি মুহূর্তে তাঁদের পাশে থাকা, তাঁদের সম্মান জানানো।
তুমি যখন নিজের শক্তি হারিয়ে ফেলো, তখন তোমার পাশে যিনি নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকেন—তিনি হচ্ছেন মা।” এই মা দিবসে আসুন, আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই সেই সকল মায়েদের, যাঁরা নিঃশব্দে, নিঃস্বার্থভাবে আমাদের জীবনে ভালোবাসা, শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার আলো ছড়িয়ে চলেছেন। আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি—তাঁদের সম্মান করব, ভালোবাসব এবং তাঁদের অবদানের মর্যাদা সবসময় রক্ষা করব।
মাধবী চক্রবর্তী, ঢাকা
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও লেখক