মেলবোর্ন, ৩১ মে— ভারতের অর্থনীতি জানুয়ারি-মার্চে সাত দশমিক চার শতাংশ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির কারণে অনিশ্চয়তা থাকলেও এটি পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ভারতের নির্মাণ ও উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধির কারণে এই বৃদ্ধি হয়েছে।
এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বার্ষিক হিসাবে ছয় দশমিক সাত শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি হয়েছে। এটি আগের প্রান্তিকে সংশোধিত ছয় দশমিক চার শতাংশ বৃদ্ধির চেয়েও উর্ধ্বমুখী।
শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এটি জানুয়ারি-মার্চ ২০২৪-এর পর থেকে সবচেয়ে দ্রুত জিডিপি প্রবৃদ্ধি।
ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি. আনন্দ নাগেশ্বরন বলেন, “যেখানে বিশ্বে প্রবৃদ্ধির সংকট চলছে, সেখানে ভারতের প্রবৃদ্ধি স্থির রয়েছে।”
তিনি বলেন, ভারত অন্যান্য বড় অর্থনীতিগুলোর চেয়ে এগিয়ে। যেমন চীনের অর্থনীতি এই সময়ে পাঁচ দশমিক চার শতাংশ বেড়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (আরবিআই) আশা করছে, ১ এপ্রিল শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ। এই হারে, ভারত বিশ্বের দ্রুততম প্রবৃদ্ধিশীল বড় অর্থনীতি হিসেবে থাকবে। এছাড়া দেশটি আইএমএফের হিসেব অনুযায়ী, চার দশমিক ১৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে জাপানের সমান হতে পারে।
অর্থনীতিবিদ সাক্ষী গুপ্ত বলেন, “এই প্রান্তিকের জিডিপি পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি এসেছে। এটি বোঝায়, গত বছরের মাঝামাঝির মন্থরতা কাটিয়ে উঠেছে অর্থনীতি।”
তবে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক মন্দা ও আমেরিকার শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ। আলোচনার কারণে এটি ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক ডিবিএস ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রাধিকা রাও বলেন, “আমরা আশা করছি ২০২৬ অর্থবছরের শুরুতে প্রবৃদ্ধি মাঝামাঝি ছয় শতাংশের আশপাশে স্থিতিশীল হবে। কৃষি উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়া এবং সরকারি ব্যয় স্থিতিশীল থাকলে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে।”
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “বাহ্যিক অনিশ্চয়তা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে প্রভাব ফেলতে পারে।”