মেলবোর্ন, ৩১ মে—পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার (৩০ মে) বিজেপির বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে কলকাতার পার্ক সার্কাসে অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের যশোরে মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া ও তাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে এই কর্মসূচি পালন করেন তিনি।
স্মারকলিপি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু আত্মীয় ওপার বাংলায় (বাংলাদেশ) বসবাস করেন। সেখানকার যশোর জেলার এক গ্রামে মোট ১৯টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ১০টি মতুয়া সম্প্রদায়ের এবং ৯টি বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের। এই উভয় সম্প্রদায়ের লোকজনই সনাতন ধর্মাবলম্বী। ওপার বাংলা ও এপার বাংলায় মিলিয়ে কোটি কোটি মতুয়া বসবাস করছেন। তাই এই ঘটনার বিরুদ্ধে চুপ করে বসে থাকা সম্ভব নয়। প্রতিবাদ জানাতেই আজ হাইকমিশনে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা কী চান, এখান থেকেও হিন্দুদের পলায়ন শুরু হোক?’
বিরোধী দলনেতা জানান, ‘বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আমাকে জানিয়েছেন, এই হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ৬ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা এবং ৩০ কেজি করে চাল প্রদান করেছে। তবে এই সহায়তা যথেষ্ট নয়।’
তিনি বলেন, ‘যদি বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দেয়, তাহলে ভারত থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরু অনুকূল ঠাকুর মিশন এবং ভারত সেবাশ্রম সংঘের মাধ্যমে আমরা আর্থিক সহায়তা পাঠাতে চাই। বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আমরা রয়েছি।’
শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, ‘বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত মতুয়া পরিবারের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে যাবে। বাংলাদেশ হাইকমিশন ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, প্রতিনিধি দল পাঠাতে চাইলে তাদের দ্রুত ভিসার ব্যবস্থা করা হবে।’
শেষে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যেসব কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেন, তারা যেন সঠিক ব্যবস্থা নেন, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা