মেলবোর্ন, ০৩ জুন— গণঅভ্যুত্থানের পর সংস্কারের আলোচনার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার প্রথম যে বাজেট উপস্থাপন করল, তাতে নতুনত্ব আর অভিনবত্ব কী আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন এরই মধ্যে উঠতে শুরু করেছে।
অর্থনীতির গবেষক, আর বিশ্লেষকরা বলতে শুরু করেছেন, বাজেটে কর কাঠামো আর উন্নয়ন বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো সংস্কারের উদ্যোগ দেখা যায়নি।
অর্থ উপদেষ্টা কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর কথা বলেছেন। পাশাপাশি, ৫৭ হাজার কোটি টাকা বাড়তি কর আদায়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর শর্ত মেনে চলার কথাও উল্লেখ করেছেন।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহম্মদ দেশকাল নিউজ ডটকমের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তাবিত আয়-ব্যয়ের হিসাবকে ‘দাতাগোষ্ঠীর পরামর্শে প্রণীত ব্রিফকেসবিহীন বাজেট’ আখ্যা দিয়েছেন।
তার দৃষ্টিতে এই বাজেটে বেশকিছু ভালো উদ্যোগ থাকলেও দেশের জনগণের অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ নেই।
বাজেট আমদানি নির্ভরতা বাড়বে মত দিয়ে বামপন্থি এই অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক কর্মী এও মনে করেন যে, দেশীয় শিল্পের বিকাশে তেমন কোনো উদ্যোগ রাখেননি অর্থ উপদেষ্টা।
প্রত্যাশার পাহাড় নিয়ে সরকার, বাজেটে প্রতিফলন কী?
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রত্যাশার পাহাড়সম চাপ নিয়ে দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের দশম মাসের শেষে এসে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট পেশ করেছেন। তিনি গণঅভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করেছেন। দাবি করেছেন, সংস্কারের মাধ্যমে যে পরিবর্তন আনার চেষ্টার সুফল এরই মধ্যে পড়েছে।
বাংলাদেশের ৫৪টি বাজেটের মধ্যে এবারই প্রথম আগের বছরের চেয়ে আকার ছোট হয়েছে। বরাদ্দ কমেছে ৭ হাজার কোটি টাকা।
গত বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় উন্নয়ন বরাদ্দ কমেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, এই হিসাবে রাজস্ব ব্যয় কিন্তু বাড়াতে হয়েছে অর্থ উপদেষ্টাকে।
অর্থ উপদেষ্টা স্বীকার করেছেন, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার কমেছে, সে জন্য তিনি মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে আশা করছেন, আবার বলেছেন, প্রবৃদ্ধি নয়, সামগ্রিক উন্নয়নেই সরকারের লক্ষ্য।
বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ শতকরা হারে আগের বছরের চেয়ে কমেছে, এটা নিয়ে নাখোশ অর্থনীতিবিদরা। তবে জননিরাপত্তা খাতে সংশোধিত বাজেটের তুলনায় পৌনে দুই হাজার কোটি টাকা বাড়িয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
বাজেটে সুস্পষ্ট ঘোষণা এসেছে যে বিদ্যুতের দাম আপাতত বাড়বে না, এটি সাধারণ মানুষের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের জন্যও স্বস্তিকর। সেই সঙ্গে চিনি-সয়াবিন তেলের দাম কমানোর লক্ষ্যে কর সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি এরই মধ্যে ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে, আগামী জুনের মধ্যে সেটি ৮ এর ঘরে নেমে আসবে বলে আশা করছেন অর্থ উপদেষ্টা। আগামী অর্থবছরে সেটি আরও কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ এ নামানোর লক্ষ্য স্থির হয়েছে।
পুরনো কাঠামো?
অর্থনীতির গবেষণা সংস্থা সানেম এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান মনে করেন, পতিত সরকারের কাঠামো থেকে বের হতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার।
তার মূল্যায়ন হলো, “পুরানো কাঠামোর বাজেটের যে পুঞ্জিভূত সমস্যাগুলো রয়েছে তা এই বাজেটকে তাড়িয়ে বেড়াবে।… বাজেটের কাঠামো পরিবর্তনের যে সুযোগ ছিল, আমার কাছে মনে হয়েছে যে, এই বাজেট সেই সুযোগটা সেভাবে নিতে পারেনি।”
স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে গতানুগতিক প্রক্রিয়ার বাইরে এসে ভিন্ন রকমের অগ্রাধিকার দেখার আশায় ছিলেন অর্থনীতির এই শিক্ষক ও গবেষক।
তিনি বলেন, “সেই জায়গাটা কিছুটা হলেও আমাকে আশাহত করেছে। কোনো কোনো জায়গায় একটু এদিক সেদিক হয়েছে, কিন্তু খুব বড় ধরনের কোনো কাঠামোগত পরিবর্তন হয়নি।”
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতেও অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে মত দিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন কবে হবে, কীভাবে হবে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি… সব কিছু মিলিয়ে ব্যক্তি খাত যে চাপে আছে সেটি পরিবর্তন কোনো আশা নেই।”
বড় অঙ্কের ঘাটতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ী নেতা
অর্থ উপদেষ্টা নতুন অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশে রেখেছেন। রাজস্ব আদায় ও ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য রেখেছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এই ঘাটতি রেখেছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ-বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ অবশ্য এই পরিমাণ ঘাটতি নিয়েই দুশ্চিন্তায়।
দেশকাল নিউজ ডটকমকে বলেন, “ঋণনির্ভর এ বিশাল ঘাটতি বাজেটে জনগণের অর্থনৈতিক বৈষম্য খুব বেশি কমাবে না। এই ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশি ঋণ ও সুদের বোঝা আরও বৃদ্ধি পাবে।”
পরিচালনা ব্যয় ও সুদ পরিশোধের মত অনুন্নয়ন খাতেই বাজেটের অধিকাংশ অর্থ ব্যয় হবে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএসইএর সাবেক সভাপতি আরও বলেন, “বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার যে বিশাল অংকের টাকা ব্যাংকিং উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কমবে।”
অর্থ আসবে কোত্থেকে
অর্থ উপদেষ্টা ঘাটতি কম ধরে যে বাজেট দিয়েছেন, তাতে তিনি ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ে পরিকল্পনা করেছেন। এই অংক চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেশি।
অর্থবছরের ১০ মাসে সরকার সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও যেখানে ৭১ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে, সেখানে আগামী অর্থবছরে এই বিপুল পরিমাণ রাজস্ব কীভাবে আসবে, তা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা অর্থ উপদেষ্টা দেননি।
তিনি একদিনে কর ছাড় বন্ধের কথা বলছেন, অন্যদিকে নোবেল পুরস্কারসহ বিদেশি পুরস্কারকে কর ছাড়েও আওতায় রাখার কথা বলেছেন। আরও নানা খাতেই ছাড় দিয়েছেন তিনি।
অর্থনীতির গবেষকরা বলছেন, আগামী অর্থবছর নির্বাচনের বছর। দেশের বড় দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ছাড়াও অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের মধ্যে আবার পরিস্থিতি যে কোনো সময় ঘোলাটে হয়ে উঠতে পারে।
এমনিতেই বিনিয়োগ পরিস্থিতি ভালো নয়, তার ওপর পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠছে চলতি অর্থবছরের মতোই রাজস্ব আদায় ফের অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে।
বিজিএমইএ নেতা আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী মনে করেন, “প্রস্তাবিত বাজেটে পর্যাপ্ত রাজস্ব সংগ্রহের বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নেই। করজাল সম্প্রসারণ বা নতুন কর ব্যবস্থার বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতি উল্লিখিত হয়নি।”
দাতা গোষ্ঠীর পরামর্শে বেশ কিছু খাত থেকে করছাড় প্রত্যাহার করা হয়েছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে কর ছাড়ের মেয়াদ কমানো হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, “এতে উদীয়মান খাতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
উন্নয়ন বরাদ্দ নিয়ে কী ভাবনা?
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উন্নয়ন বাজেট আগের বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমানো হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে শতকরা হিসাবে উন্নয়ন বাজেট এতটা কমানো হয়নি কখনও।
অধ্যাপক সেলিম রায়হান হতাশ অন্য একটি কারণে। তিনি বলেন, “এডিবির বরাদ্দর ক্ষেত্রে আমার দেখলাম পুরনো প্রকল্পের ধারাবাহিকতা রয়েছে।
“আমরা শ্বেতপত্রে অভিযোগ করেছিলাম যে, অনেক অতি মূল্যায়িত প্রকল্প রয়েছে। সে সব প্রকল্পের ব্যপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? বিষয়গুলো তো সুস্পষ্টভাবে বলাও হয়নি।”
আয়করে চাপ বাড়বে
অর্থ উপদেষ্টা ২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে আয়কর খাতে বাড়তি আদায়ের যে প্রস্তাব করেছেন, তাতে করমুক্ত আয় সীমায় ঢুকলে এক লাখ টাকা পর্যন্ত কর হার ৫ শতাংশ থেকে শতভাগ বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি ধাপে ৫ শতাংশ করে বাড়তি কর আরোহনের কথা বলেছেন তিনি।
সালেহউদ্দিন অবশ্য করমুক্ত আয়সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করেছেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, “এই সুবিধা খুব কম মানুষই পাবে। বরং চাকরিজীবীদের মধ্যে করের চাপ আরও বাড়বে।”
ব্যাংক কর্মকর্তা সাখাওয়াত রনি হিসাব করে দেখেছেন, কর আদায়ের এই হার বাড়লে তাকে বাড়তি দেড় লাখ টাকা কর দিতে হবে।
দেশকাল নিউজ ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা কর দিই বলে আমাদেরকেই বেশি চাপ দিয়ে কর বাড়িয়ে দিলো। অথচ অনেক মানুষ আছে, যারা সিস্টেমে কর ফাঁকি দেয়। তাদের বিষয়ে কিন্তু কোনো পদক্ষেপ দেখি না।”
সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, “সামগ্রিকভাবে করখাতে বড় ধরনের সংস্কার না করে কেবল করহার এদিক সেদিক না করলে তখন সেটা বোঝা একজনের ওপর থেকে আরেকজনের ওপর গিয়ে পড়বে।”
অন্তর্বর্তী সরকার আগামী জুনের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে বিদায় হওয়ার কথা বলছে। এই অবস্থায় তারও এক বছর পর থেকে বাড়তি করারোপের এই প্রস্তাব নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট বক্তব্যে অবশ্য কোনো ব্যাখ্যা দেননি।
কর্মসংস্থান নিয়ে ‘দিক নির্দেশনা নেই’
অর্থনীতির গবেষক সেলিম রায়হানের মতে প্রস্তাবিত বাজেটের আরেকটি দুর্বলতা হলো, এখানে কর্মসংস্থানের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা নেই।
তিনি বলেন, “ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ এখন স্থবির জায়গায় আছে। সেই স্থবিরতা কাটানো জন্য সুস্পষ্ট কিছু নেই।”
গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া বুদ্ধিজীবী ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, “দেশীয় শিল্পের বিকাশে তেমন কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। সব মিলিয়ে এ বাজেট অসঙ্গতিপূর্ণ।”
টেক্সটাইল শিল্পের উদ্যোক্তারা অর্থ উপদেষ্টার একটি প্রস্তাবে নাখোশ। তিনি দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত সুতায় ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। এর প্রভাবে পোশাকের দাম বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
অর্থ উপদেষ্টা যখন বাজেট দিয়েছেন, সে সময় পরিসংখ্যান ব্যুরোর বেকারত্ব নিয়ে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনটি প্রাসঙ্গিত হয়ে উঠেছে।
মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরে দেশে বেকারত্ব বেড়েছে সাড়ে ছয় শতাংশ, সংখ্যায় যা ১ লাখ ৬০ হাজার।
বিদ্যুৎ নিয়ে স্বস্তির ঘোষণা
অর্থ উপদেষ্টা তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, “বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে নীতিগতভাবে আমরা বিদ্যুতের মূল্য আপাতত না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সেই সঙ্গে তিনি বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা জানিয়েছেন। এ লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিগুলোও পর্যালোচনা এবং এনার্জি অডিট করার উদ্যোগের কথা বলেছেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে বহু বছর আন্দোলন করে আসা আনু মুহাম্মদ বলেন, “বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ১০ শতাংশ কমানো খুবই সম্ভব। তবে জাতীয় সক্ষমতা বাড়াতে হবে।”
এর জন্য এ খাতে বাজেট বাড়ানো প্রয়োজন মত দিয়ে তিনি হতাশাও প্রকাশ করে বলেন, “কিন্তু সেটা হয়নি।”
জ্বালানি ভর্তুকি কমালে সাধারণ মানুষের ওপর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মূল্যের প্রভাব পড়তে পারে বলেও শঙ্কিত আনু মুহাম্মদ।
সার্বিক মূল্যায়ন: ‘প্রত্যাশা পূরণ হয়নি’
আনু মুহাম্মদ সোজাসাপ্টাই তার হতাশার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “সংস্কারের যে প্রত্যাশা ছিল তা পূরণ হয়নি। বিগত সরকারের কাঠামো বিদ্যমান আছে। বিশেষ করে জনপ্রশাসন খাতে বাজেট কমানোর প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু এ বাজেটে বাজেট আরও বাড়ানো হয়েছে।”
প্রতিবেদন: দেশকাল নিউজ