মেলবোর্ন ১১ জুন
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৩-২০২৫ চক্রের ফাইনালের প্রথম দিনেই ১৪ উইকেটের পতন হয়েছে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২১২ রানে অলআউট হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ৪৩ রান করে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এখনো ১৬৯ রানে পিছিয়ে প্রোটিয়ারা।
ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক লর্ডসে টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদাবান ট্রফি জেতার লড়াইয়ে নেমে প্রথম সেশনেই অস্ট্রেলিয়াকে বেকায়দায় ফেলে দেয় প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে আসা দক্ষিণ আাফ্রিকা। মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।
দুই ব্যাটার উসমান খাজা ও মারনাস লাবুশেন শুরু থেকেই পিচে যেন কেমন অস্বস্তি অনুভব করছিলেন। দুইদিক থেকে আক্রমণে আসা দুই দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের বলে বারবার পরাস্ত হতে থাকেন তারা। ব্যাটে যেন বল স্পর্শ করাতেই পারছিলেন না খাজা ও লাবুশেন।
২০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি খাজা। ইনিংসের সপ্তম ওভারে রাবাদার বলে প্রথম স্লিপে ডেভিব বেডিংহ্যামের হাতে ক্যাচ হন বাঁহাতি অসি ওপেনার। ওই ওভারের শেষ বলে নতুন ব্যাটার ক্যামেরন গ্রিনকেও (৩ বলে ৪) ফেরান রাবাাদা। তাকে দ্বিতীয় স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে জমা করান ডানহাতি পেসার।
পিচে সেট হয়েও উইকেট ধরে রাখতে পারেননি লাবুশেন। ৫৬ বলে ১৭ রান করে ইয়ানসেনের বলে উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনের হাতে ধরা পড়েন ডানহাতি অসি ব্যাটার।
সুবিধা করতে পারেননি ট্রাভিস হেডও। ১৩ বলে ১১ রান করে তিনিও একইভাবে জানসেনের শিকার হন, তালুবন্দি হন উইকেটকিপারের। তার উইকেট পতনের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয় প্রথম সেশনের খেলা।
দ্বিতীয় সেশনে স্টিভ স্মিথ ও বিউ ওয়েবস্টারের পঞ্চম উইকেটে ৭৯ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। ১১২ বলে ৬৬ রান করে আউট হন স্মিথ। জানসেনের বলে স্লিপে মার্করামের হাতে ক্যাচ হন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেটে ওয়েবস্টারের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি করে ফেরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার অ্যালেক্স কেরে (৩১ বলে ২৩)। নিচের দিকে আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। ৯২ বলে ৭২ রানে আউট হন ওয়েবস্টার। ফলে ৫৬.৪ ওভারেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস।