মেলবোর্ন, ১২ জুন— বাংলাদেশে গত বছরের আগস্টে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানে এক ভারতীয় নাগরিকের অংশ নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। নিউটন দাস নামে ওই ভারতীয় পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপ বিধানসভার ভোটার। বিষয়টি নিয়ে ভারতের রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
রবিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি হিন্দুর প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, নিউটন বাংলাদেশের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে রাস্তায় মিছিলে অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি তিনিও অস্বীকার করেননি।
এক ভিডিও বার্তায় নিউটন বলেন, “পূর্বপুরুষের জমিজমা সংক্রান্ত কাজে ২০২৪ সালে আমি বাংলাদেশে যাই। সেখানে বিপ্লব চলার কারণে আটকা পড়ি। ২০১৪ সালে আমি কাকদ্বীপের ভোটার হলেও ২০১৭ সালে সেটি হারিয়ে ফেলি। ২০১৮ সালে স্থানীয় বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার সহায়তায় আমি নতুন ভোটার কার্ড পাই।”
নিউটন বর্তমানে ভারত নাকি বাংলাদেশে রয়েছেন সেটি স্পষ্ট করেননি।
তার একজন আত্মীয় তপন দাস জানান, নিউটনের জন্ম বাংলাদেশে। তিনি দুই দেশেই ভোট দেন।
কাকদ্বীপের বাসিন্দা তপন জানান, নিউটন ভারতে থেকে বাংলাদেশে যাননি। বরং বাংলাদেশ থেকেই ভারতে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “মহামারির পরে কিছু জমি বিক্রি করতে সে এখানে এসেছিল। তারপর থেকে আর আসেনি। নিউটনের জন্ম বাংলাদেশে। সে সেখানকারই ভোটার। এটা তার দোষ যে সে দুই দেশেই ভোটার হয়েছে।”
কাকদ্বীপ এলাকাটি সুন্দরবনের বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা।
নিউটনের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিজেপি অভিযোগ করছে, বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে তৃণমূল।
দলটির নেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে লাখ লাখ বাংলাদেশি ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য সাদ শেখের নামও মুর্শিদাবাদ জেলার ভোটার তালিকায় ছিল।
তবে তৃণমূল বলছে, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানোর দায়িত্ব বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ)।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “স্থল, জল বা আকাশপথে যেভাবেই এই লোকগুলো আসুক না কেন, এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার ও বিএসএফ। তবে নিশ্চিতভাবেই রাজ্য সরকারও তার দায়িত্বটুকু পালন করবে।”