মেলবোর্ন, ১২ জুন— যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নজিরবিহীন বিরোধে জড়িয়ে এখন অনুশোচনায় ভুগছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে করা এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে করা কিছু পোস্টের জন্য আমি অনুতপ্ত। এগুলা বাড়াবাড়ি হয়েছে।”
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাস্ক এমন সময়ে পোস্টটি দিলেন যখন ট্রাম্প তার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ‘কিছুটা হতাশ’ হলেও খুব বেশি বিচলিত নন বলেও জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের কর ও ব্যয়ের বিল নিয়ে মূলত বিরোধে জড়িয়েছিলেন মাস্ক। তিনি একে ‘বিরক্তিকরভাবে জঘন্য’ বলেও অভিহিত করেন।
পরে ট্রাম্প বিষয়টি নিয়ে বলেন, “আমি মনে করি, এটা বলার কারণে সে খুবই খারাপবোধ করেছে।”
ট্রাম্পের বাজেট বিলে ধনীদের জন্য বড় ধরনের কর ছাড় রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিরক্ষা ব্যয়ও বাড়ানো হয়েছে। তবে এই করছাড়কে যথেষ্ট মনে করেন না মাস্কসহ বেশ কিছু ধনকুবের।
তার মতে, এই বিলের কারণে বছরের শেষার্ধে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে।
ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মাস্ক কোনো প্রমাণ ছাড়াই শিশু নিপীড়ক জেপরি এপস্টেইনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন।
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘মাস্ক পাগল হয়ে গেছে’। তিনি মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সঙ্গে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি বাতিলের হুমকিও দেন।
বিবিসি জানিয়েছে, মাস্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্পকে নিয়ে করা অনেকগুলো পোস্ট সরিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারণের দাবি জানানো পোস্টও ছিল।
২০২৪ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়েছিলেন মাস্ক। দায়িত্ব নেওয়ার পর তাকে সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব দেন ট্রাম্প। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ১২৯ দিন পর সেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন মাস্ক।