মেলবোর্ন, ১৪ জুন—মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে। ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে রাজধানী তেল আভিভে বিস্ফোরিত হয়।

ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত দু’জন নিহত হয়েছেন—একজন ষাট বছর বয়সী নারী এবং চল্লিশের কোটায় একজন পুরুষ। আহত হয়েছেন অন্তত ১৯ জন। রিশন লেজিয়ন শহরের আবাসিক ভবনগুলোতে আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। স্থানীয় প্রশাসন নাগরিকদের বোমাশেল্টারে অবস্থান করতে বলেছে।
অন্যদিকে, ইরানে এখন পর্যন্ত ৭৮ জনের মৃত্যু ও অন্তত ৩২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন,
“আমাদের প্রতিশোধ শুরু হয়েছে। আমাদের কমান্ডার, বিজ্ঞানী ও জনগণকে হত্যা করার জন্য ইসরায়েলকে চড়া মূল্য দিতে হবে। ইসরায়েলের কোথাও আর নিরাপদ থাকবে না।” তিনি আরও বলেন, “এই প্রতিশোধ হবে অত্যন্ত বেদনাদায়ক।”
যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে যে তারা ইসরায়েলের সহায়তায় কিছু ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। তবে ইরান দাবি করেছে তারা একটি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাইলটকে আটক করেছে—যদিও ইসরায়েল এই দাবি অস্বীকার করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন,
“তেহরান সীমা অতিক্রম করেছে, তারা বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এর জন্য তাদের বড় মূল্য দিতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানি জনগণকে তাদের সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“ওরা এখনো জানে না কী ধরণের আঘাত পেয়েছে বা সামনে কী অপেক্ষা করছে।”
শনিবার সকালে ইরানের সালমাস সীমান্ত অঞ্চলে ইরান দাবি করেছে তারা ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করেছে, যেগুলো গুপ্তচরবৃত্তি ও নজরদারি মিশনে তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়:
“সালমাস সীমান্ত অঞ্চলে ইরানি ইসলামিক যোদ্ধারা সফলভাবে ইসরায়েলি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে। ড্রোনগুলো আমাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল গুপ্তচর মিশনের উদ্দেশ্যে।”
এই মুহূর্তে কোনো পক্ষই শান্তির পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিচ্ছে না, বরং যুদ্ধ আরও ব্যাপক রূপ নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উত্তেজনা প্রশমনের কোনো উদ্যোগ এখনও কার্যকর হয়নি।