মেলবোর্ন, ১৫ জুন— যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা হবে না বলে শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ জানিয়েছেন ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল বুসাঈদি। এই আলোচনার মধ্যস্থতা করে আসছিল ওমান। রবিবার দেশটির রাজধানী মাসকাটে এই আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
এই ঘোষণার একদিন আগে ইসরায়েল ইরানের ওপর ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এতে ইরানের বেশ কয়েকজন সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী নিহত হন। পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতেও বোমা হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের দাবি, ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, সেজন্যই এই হামলা।
শনিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানকে ফোন করে জানান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাচ্ছেন। তিনি ইরানের ওপর হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনাকে বানচাল করার চেষ্টা করছেন।
এরদোয়ানের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি পেজেশকিয়ানকে আরও বলেন, ইসরায়েলের এই হামলার উদ্দেশ্য হলো গাজায় যা ঘটছে, তা থেকে আন্তর্জাতিক মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া। তিনি গাজায় চলমান ঘটনাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ইসরায়েলের এই ‘বর্বরোচিত’ হামলা চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়া ন্যায্য নয়।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাঈ শুক্রবার বলেন, ইসরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার আর কোনো অর্থ নেই। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন এই হামলায় ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছে।
বাঘাঈ বলেন, “একদিকে আলোচনার কথা বলা হচ্ছে, অন্যদিকে আবার ইসরায়েলকে আমাদের ভূখণ্ডে হামলার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে—এই অবস্থায় সংলাপের কোনো মানে নেই।”
তিনি আরও বলেন, “রবিবার এই বিষয়ে আমরা কী সিদ্ধান্ত নেব, তা এখনও পরিষ্কার নয়।”
তার মতে, ইসরায়েল কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পেরেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া এই হামলা সম্ভব হতো না। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে এই হামলার সহযোগী বলেও অভিযুক্ত করেন।