কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে শুধু বিদ্যুৎ নয়, পানি খরচও এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি ওপেনএআই সিইও স্যাম অল্টম্যান এক চমকপ্রদ তথ্য জানিয়েছেন, প্রতি চ্যাটজিপিটি প্রশ্নে খরচ হয় প্রায় ০.০০০০৮৫ গ্যালন পানি, যা এক চা চামচের ১৫ ভাগের এক ভাগের সমান। একইসঙ্গে খরচ হয় ০.৩৪ ওয়াট-আওয়ার বিদ্যুৎ, একটি ওভেনের এক সেকেন্ড বা একটি এলইডি বাল্বের দুই মিনিট চালানোর মতো।
এ পানি ও বিদ্যুৎ মূলত ব্যবহৃত হয় সার্ভার চালানো ও ঠান্ডা রাখার কাজে। সার্ভার ফার্মগুলোর অপারেশনের বড় অংশজুড়ে রয়েছে ঠান্ডা রাখার জন্য পানি ব্যবহার, যা ক্রমেই পরিবেশগত উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
গবেষকরা বলছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে এআই প্রযুক্তির বিদ্যুৎ চাহিদা বিটকয়েন মাইনিংকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিপিটি-৪ দিয়ে লেখা মাত্র ১০০ শব্দের একটি ইমেইলেও খরচ হয় এক বোতল পানির সমপরিমাণ তরল। যদিও অল্টম্যান ঠিক কীভাবে হিসাব করেছেন তা পরিষ্কার নয়, তবে তার বক্তব্যকে অনেকেই দেখছেন সমালোচনার জবাব ও প্রযুক্তির দক্ষতা বোঝানোর কৌশল হিসাবে।
তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, এ খরচ কি ন্যায্য? ভবিষ্যতে এআই প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে এই পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে কি কোনো কার্যকর সমাধান আসছে? সময়ই দেবে উত্তর।