মেলবোর্ন, ১৮ জুন— যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন ইরানের ওপর সামরিক হামলা চালাতে না পারেন, সে জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে একটি বিল উত্থাপন করেছেন এক প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট সিনেটর।
ভিরজিনিয়ার সিনেটর টিম কেইন সোমবার এই বিলটি উত্থাপন করেন। এই পদক্ষেপ এমন সময় এলো যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাত আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
এদিকে বিভিন্ন ইসরায়েলপন্থি গোষ্ঠী ইসরায়েলের পাশে যুদ্ধ শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
কেইন এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা খুব দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রকে আরেকটি অন্তহীন যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “আমেরিকান জনগণ আর মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি ‘চিরকালীন যুদ্ধ’-এ অংশ নিতে চায় না। এই প্রস্তাবটি নিশ্চিত করবে যে আমাদের দেশের সেনাদের ঝুঁকিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কংগ্রেসে তা নিয়ে বিতর্ক ও ভোট হবে।”
এই বিলটি ১৯৭৩ সালের ‘ওয়ার পাওয়ার্স রেজল্যুশন’-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যা ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্টদের একক সিদ্ধান্তে যুদ্ধ শুরু করার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য গৃহীত হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে, কিন্তু বহু প্রেসিডেন্ট তাদের ‘কমান্ডার-ইন-চিফ’ হিসেবে ক্ষমতা ব্যবহার করে সেনা মোতায়েন, হামলা এবং যুদ্ধ শুরু করেছেন কংগ্রেসের স্পষ্ট অনুমোদন ছাড়াই।
এই প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর যুদ্ধ বিরোধী উভয় দলের পক্ষ থেকেই চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
‘ফ্রেন্ডস কমিটি অন ন্যাশনাল লেজিসলেশন’-এর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক আইন পরিচালক হাসান এল-তাইয়্যাব বলেন, এই বিলটি ট্রাম্পকে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর বিরুদ্ধে একটি বার্তা দেবে এবং ইসরায়েলকেও জানিয়ে দেবে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ পাবে না।
এটি কংগ্রেসে যুদ্ধবিরোধী অবস্থানের মাত্রা বুঝতেও সাহায্য করবে, বিশেষ করে রিপাবলিকানদের মধ্যে। অনেক ডানপন্থী আইনপ্রণেতা ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন যে এমন একটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে নয়।