মেলবোর্ন ১৮ জুন
এনামুল হক বিজয়ের আউট দিয়ে শুরুটা হয় বাংলাদেশের। এরপর দ্রুত উইকেট হারান সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক।
চাপ সামলে চতুর্থ উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। দুজনেই পান সেঞ্চুরির দেখা। লড়ছেন এখনও। দ্বিতীয় দিনেও ব্যাট করতে নামবেন তারা।
শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে কপাল খুলেছে শান্তর। টস ভাগ্যও পান তিনি। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা যদিও একদমই ভালো হয়নি। তবে বাকি সময়টা পুরোটাই বাংলাদেশের। ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে তারা। শান্ত অপরাজিত আছেন ১৩৬ রানে। আর মুশফিকের সংগ্রহ ১০৫ রান। আগে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম ওভারেই বিদায় নিয়েছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। আসিথা ফার্নান্দোর ফুলার বল, অফের বাইরে সূক্ষ্ম সুইং মিস করেন এনামুল। অনিশ্চিত ফ্রন্টফুট ড্রাইভে তার ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় পেছনের দিকে। সেখানে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিস ডানে সরে নিখুঁত ক্যাচ নেন! ১০ বল খেলে শূন্য রানেই ফেরেন এনামুল।
এরপর সাদমান ও মুমিনুল মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৫তম ওভারে লঙ্কান রহস্য স্পিনার থারিন্দুর টানা দুই বলে আউট হন তারা। প্রথম স্লিপ থেকে দুজনের ক্যাচ তালুবন্দি করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। সাদমান ১৪ ও মুমিনুল ২৯ রানে আউট হন।
প্রথম সেশনে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯০ রান করে বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় সেশন থেকে কোনো ক্ষতি ছাড়াই শুরু করেন শান্ত ও মুশফিক। দুজনেই ফিফটি তুলে নেন একই ওভারে। ৪৮ ওভারে প্রবাথ জয়সুরিয়ার করা দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নেন শান্ত। সেই সঙ্গে মুশফিকের সঙ্গে তার জুটিতে ১০০ রান পূর্ণ হয়। পরের বলে ক্যারিয়ারের ২৮ ফিফটির দেখা পান মুশফিকও। ১৩ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পেলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
তৃতীয় সেশনে খেলতে নেমে ২৬৬ বলে নিজেদের প্রথম শতরানের জুটিকে দেড়শ পর্যন্ত নিয়ে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশের দলীয় রান দুইশ পার হয় তাদের ব্যাটে। ধীরে ধীরে রান বাড়তেই থাকে। এরইমধ্যে লম্বা সময় পর সেঞ্চুরির দেখা পান নাজমুল হাসান শান্ত। ২০২ বলে ১১ চার ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক তুলে নেন তিনি।
একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ছিল তার আগের সেঞ্চুরিও; যদিও ফরম্যাটটা ভিন্ন ছিল। গত বছরের মার্চে হওয়া সেই ম্যাচটি ছিল ওয়ানডে। আর টেস্টে তিনি শেষবার সেঞ্চুরি করেন ২০২৩ সালের নভেম্বরে; নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
শান্তর পথেই হাঁটতে থাকেন মুশফিক। সফলতা পান তিনিও। ১৭৬ বলে ৫ চারে শতক পূর্ণ করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। প্রায় দশ মাস পর শতকের দেখা পান তিনি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের আগস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। তার শতকের কিছুক্ষণ পরই প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়।