মেলবোর্ন ৫ জুন
দেশের মাঠে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই নিজের জাত চেনালেন হামজা চৌধুরী, দুর্দান্ত হেডে ভুটানের জালে বল পাঠালেন লেস্টারের এই তারকা।
ঢাকায় দর্শকদের তুমুল উত্তেজনায় টুইটম্বর স্টেডিয়ামের সবাই যখন ফুটবলের নতুন উন্মাদনায় মত্ত ঠিক তখনই দর্শকদের মন ভরিয়ে দিলেন দেশের নতুন নায়ক হামজা চৌধুরী। দেশের জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামলেন দেশের মাটিতে, আর প্রথম ম্যাচেই করলেন এক অসাধারণ গোল।
খেলা শুরুর মাত্র ছয় মিনিটেই বাংলাদেশ পায় কর্নার। কর্নারের বল হাতে নিয়েছিলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, যিনি বরাবরই নিখুঁত ডেলিভারির জন্য পরিচিত। তার পাঠানো কর্নার থেকে ভেসে আসা বলের দিকে মাথা বাড়িয়ে নিখুঁত টাইমিংয়ে হেড করলেন হামজা। বল সোজা গিয়ে জাল ছুঁয়ে ফেলল, আর গ্যালারিতে তখন উল্লাসে ফেটে পড়ল হাজারো সমর্থক।
এই গোলে শুধু ম্যাচে শুরুতেই শুধু বাংলাদেশে এগিয়ে গিয়েছিল তা নয় তার সাথে বরং এটা হয়ে রইল এক বিশেষ মুহূর্তও। কারণ এটা ছিল হামজার জাতীয় দলের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ এবং তাতেই প্রথম গোলের দেখা পেলেন তিনি। বিদেশি মাটিতে অভিষেক হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে, আর এইবার দেশের মাঠে গায়ে জড়ালেন লাল-সবুজের ভালবাসা।
দর্শকদের অনেকেই তাকে সরাসরি মাঠে খেলতে দেখার সুযোগ এবারই প্রথম পেয়েছেন। যারা লেস্টার সিটি বা ইংলিশ ফুটবল অনুসরণ করেন, তারা জানেন এই হামজার সামর্থ্য কতটা। মাঠে আজ তার শরীরী ভাষা, বল কন্ট্রোল, পাসিং এবং ডিফেন্সিভ কাভারেজে স্পষ্ট ছিল। বলতে গেলে হামজা তিনি বাংলাদেশ এসেছেন কিছু দিতে, শুধুই নিতে নয়।
প্রথম ম্যাচেই এমন গোল অনেকটাই আশার আলো দেখায় বাংলাদেশের ফুটবলে। একজন প্রবাসী হলেও হামজা প্রমাণ করে দিয়েছেন, হৃদয়ে তার জায়গাটা পুরোপুরি বাংলাদেশের। এই এক গোলের ভেতরেই যেন লুকিয়ে আছে এক আত্মবিশ্বাস, এক নতুন দিগন্তে যাত্রার বার্তা।
মাঠে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যেমনই হোক না কেন, এই গোলটা অনেক দিন ভোলা যাবে না। কারণ এতে মিশে আছে একটি নতুন যাত্রার গল্প, একটি নতুন আশার আলো যা কিনা শুধুমাত্র হামজা চৌধুরীর।