মেলবোর্ন ১১ জুন
মেসির প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে যেন নাটকীয়তায় ভরা। এই ফাউল তো এই গোল মিস। মেজাজ হারিয়ে মেসিকে দেখা যায় বাঘ-বিতণ্ডায় জড়াতে। সবমিলিয়ে যেন এক হযবরল অবস্থা আর্জেন্টিনার শিবিরে। খেলার প্রথম হাফে এক গোলে পিছিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। তবে শেষ মুহূর্তে গিয়ে থিয়াগো আলমাদার গোলে সমতায় ফিরে আর্জেন্টিনা। তাতেই ড্রয়ের দেখা পায় মেসিরা।
এস্তাদিও মনুমেন্তালে গর্জে উঠেছিল লাখো দর্শক। সামনে প্রতিশোধের ম্যাচ, প্রতিপক্ষ সেই কলম্বিয়া; যাদের কাছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে হেরে ফিরতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু স্বপ্নের শুরু হয়নি স্বাগতিকদের জন্য, প্রথমার্ধ শেষে স্কোরবোর্ডে বড় অক্ষরে লেখা: আর্জেন্টিনা ০ – ১ কলম্বিয়া।
গোলটি যিনি করেছেন, তিনি কলম্বিয়ার গর্ব — লুইস দিয়াজ। ২৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে বাঁ দিক দিয়ে দৌড়, একে একে ফাঁকি দিয়েছেন আর্জেন্টিনার চার ডিফেন্ডারকে। গোলরক্ষক এমি মার্তিনেসকে ঠকিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বল পাঠিয়েছেন জালে। মুহূর্তেই স্তব্ধ মনুমেন্তাল, উল্লাসে কাঁপতে থাকে কলম্বিয়ান গ্যালারি।
তবে শুরুটা ভালোই করেছিল আর্জেন্টিনা। চতুর্থ মিনিটে থিয়াগো আলমাদার সঙ্গে ওভারল্যাপে মেসি ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে। কিন্তু তার ডান পায়ের শট চলে যায় পোস্টের অনেক বাইরে। এরপর ২২ মিনিটে হুলিয়ান আলভারেজ একটি দারুণ বাঁকানো শট নেন, যেটি কলম্বিয়ার গোলকিপার কেভিন মিয়ার দারুণ ডাইভে রক্ষা করেন।
এরপরই যেন পাল্টে যেতে থাকে ম্যাচের গতিপথ। ২৬ মিনিটে কলম্বিয়ার দেভার মাচাদো পান সহজ এক সুযোগ—হামেস রদ্রিগেজের চোখ ধাঁধানো পাস থেকে পাওয়া বল তিনি পাঠান বারের ওপর দিয়ে। সে সময় গোল হলে হয়তো ব্যবধান আরও বড় হতো।
তবে আর্জেন্টিনা বসে থাকেনি। ৩০ মিনিটে মেসি-আলভারেজ যুগলবন্দিতে বল জড়ায় জালে, কিন্তু ভেসে ওঠে অফসাইডের পতাকা। সমতায় ফিরতে মরিয়া আর্জেন্টিনা এরপর আরও কয়েকবার চেষ্টা চালালেও গোলের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয় আর্ধে এসে দেখা যায় আরেক বিপত্তি। মেজাজ হারিয়ে বসেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনা দুইজন পরিবর্তিত খেলোয়াড় নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল, আর দ্বিতীয়ার্ধে মেসিকে কিছুটা রাগান্বিত দেখাচ্ছিল মাঠ ছাড়ার আগে তাকে জেমস রড্রিগেজের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেছে তাকে।
এরপর গোলের দেখা ঠিকই পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। দ্রুত একটি থ্রো-ইন নেয় এবং তারপর আলমাদা তার ডান দিক থেকে একটি পাস পায়। সে বক্সে ঢুকে বাঁ দিকে সরে গিয়ে নিচের বাঁ কোণ বরাবর শট নেয়। যার ফলে সমতায় ফেরে মেসিরা।