আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী অভিনয়ের এক দশকে পা রাখছেন। ২০১৬ সালের ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছিল দুটি সিনেমা, ‘বসগিরি’ ও ‘শুটার’। এ দুই সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক ঘটে তার। শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন বুবলী। এরপর থেকে প্রায় প্রতি ঈদেই তার কোনো না কোনো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। কোভিড মহামারির সময় বাদ দিলে, এমন কোনো ঈদ ছিল না যেখানে বুবলীর একটিও সিনেমা মুক্তি পায়নি। এবারই প্রথম সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটল।
পেশাগতজীবনের শুরুতে শবনম বুবলী উড়োজাহাজের কেবিন ক্রু ছিলেন। এরপর সংবাদপাঠিকা হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেন। বড় বোন বিনোদন অঙ্গনে কাজ করতেন। একটা সময় এসে বড় বোনের মতো বুবলীও বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেন। ২০১৬ সালে পথচলার শুরুটা হয়, যা এখনো চলছে। এ সময়ের মধ্যে অভিনয় করেছেন ২৩টির মতো চলচ্চিত্রে। ঈদের মতো উৎসবে এক বা একাধিক ছবি নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হওয়া অভিনেত্রী এবার ঈদুল আজহায় নিঃসঙ্গ ছিলেন।
সদ্য শেষ হওয়া ঈদে বুবলীর দুটি সিনেমা মুক্তির গুঞ্জন ছিল। ‘সর্দারবাড়ির খেলা’ ও ‘পিনিক’ নামের সিনেমাগুলো নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহও তৈরি হয়েছিল। শুরুর দিকে দুটি ছবি সিনেমার সম্ভাবনার কথা শোনা গেলেও, পরে সিদ্ধান্ত হয়, কেবল ‘সর্দারবাড়ির খেলা’ ছবিটি মুক্তি পাবে। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে এসে সেই ছবির প্রযোজকও মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। ফলে এবারের ঈদে বুবলীর কোনো সিনেমাই মুক্তি পায়নি।
নতুন সিনেমা মুক্তি না পাওয়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এক রকম নীরবতা পালন করছেন বুবলী। কেউ কেউ বলছেন, সিনেমা মুক্তি না পাওয়ার প্রভাব যেন পড়েছে বুবলীর ব্যক্তিগত ও ভার্চুয়াল জীবনে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে বেশ সক্রিয় থাকা বুবলী ঈদের পুরো সময়েই ছিলেন একেবারেই নীরব। ছেলে শেহজাদ খান বীরের সঙ্গেও কোনো স্থিরচিত্র পোস্ট করেননি। ঈদের কোনো শুভেচ্ছাবার্তাও দেননি তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন বুবলী। নিজের পরিবারের একাধিক স্থিরচিত্র পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘কিছু কিছু ভাইয়া আপুরা অনুগ্রহ করে কিছু না জেনে কারো চালাকি প্ররোচনায় পড়ে আজেবাজে, ভুয়া, নোংরা ভিডিও বানানো, কমেন্ট করা এবং ট্যাগ করা বন্ধ করুন বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে। বাবা শাকিব খান তার সব সন্তানদের ভীষণ ভালোবাসেন, সময় দেন। শুধু শুধু সন্তানদের মধ্যে বিভাজন করবেন না এবং হিংসাত্মক মনোভাব ছড়াবেন না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সব বাবা মায়ের মতো আমরাও আমাদের সর্বোচ্চ টা দিয়ে আমাদের সন্তানকে ভালো রাখতে চাই। কারণ পরিবারের বন্ধন সবচেয়ে সুন্দর এবং শক্তিশালী। বাচ্চারা বড় হচ্ছে, তাদের কে নেগেটিভিটি থেকে দূরে রাখুন প্লিজ।’
নতুন ছবি মুক্তি না পেলেও ঈদকেন্দ্রিক টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলোতে অনেক তারকার উপস্থিতি দেখা যায়। কিন্তু বুবলী ছিলেন এ ক্ষেত্রেও প্রায় অনুপস্থিত। কোনো টক শো, গেম শো বা বিশেষ সাক্ষাৎকারেও তাকে দেখা সেভাবে দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে এবারের ঈদে বিনোদন অঙ্গন থেকে বুবলী যেন স্বেচ্ছায় নির্বাসনে রয়েছেন বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।