মেলবোর্ন ১৮ জুন
কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে বক্সের ভেতর জটলার মধ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে আকাশছোঁয়া লাফ। দুর্দান্ত হেড। গোলকিপারকে ফাঁকি গিয়ে বল জালে। ক্যারিয়ারজুড়ে এমন কিছু কম দেখাননি সের্হিও রামোস। সেই ঝলক তিনি আরও একবার দেখালেন ৩৯ বছর বয়সে। তার দল মন্তেরেই জিততে দিল না ফেভারিট ইন্টার মিলানকে।
শক্তি-সামর্থ্যে দুই দলের তুলনাই চলে না। বিশ্বের শীর্ষ ক্লাবগুলির একটি ইন্টার মিলান, এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলা দল তারা। সেখানে বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে মন্তেরেই এফসিকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। মেক্সিকোর লিগেও এখন তারা আছে সাত নম্বরে। কিন্তু অসম সেই দুই দলের মাঠের লড়াই শেষ হলো সমতায়।
ক্লাব বিশ্বকাপের ‘ই’ গ্রুপে ইন্টার মিলান ও মন্তেরেই এফসির ম্যাচ ড্র হয় ১-১ গোলে।
ম্যাচজুড়ে দাপট ছিল অবশ্য প্রত্যাশিতভাবেই ইন্টার মিলানের। বল নিয়ন্ত্রণে রাখার লড়াইয়ে তারা এগিয়ে ছিল অনেকটা (৬২ শতাংশ)। গোলে শট নেয় ১৫টি। কিন্তু আক্রমণ খুব গোছানো ও ধারাল ছিল না। স্রেফ ২টি ছিল লক্ষ্যে। মন্তেরেই ১১ বার বল গোলে তাক করে স্রেফ একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে। সেটিই তাদেরকে এনে দেয় একটি পয়েন্ট।
ক্যালিফোর্নিয়ার রোজ বোল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে ম্যাচের ২৫ মিনিটে এগিয়ে যায় মন্তেরেই। কর্নার থেকে দারুণ হেডে গোল করেন রামোস।
৪২ মিনিটে লাউতারো মার্তিনেসের গোলে সমতায় ফেরে ইন্টার।
৭৮ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ হারান সেই মার্তিনেসই। বক্সের ভেতর ফাঁকায় বল পেলেও উড়িয়ে মারেন তিনি গোলবারের ওপর দিয়ে।
৯০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে নাটকীয় জয়ের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল মন্তেরেই। বিপজ্জনকভাবে বক্সে ঢুকে শট নেট কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার নেলসন দেওসা। অল্পের জন্য বাইরে গিয়ে তা লাগে সাইডনেটে।