মেলবোর্ন ৩১ মে ২০২৫ — সদ্য সমাপ্ত ফেডারেল নির্বাচনে চমকপ্রদ ফলাফল এনে পলিন হ্যানসনের ‘ওয়ান নেশন’ দল সিনেটে তাদের আসন সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে। পার্লামেন্টে দলটি চারটি সিনেট আসন ধরে রাখছে— যা প্রায় এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রতিনিধিত্ব।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস এবং কুইন্সল্যান্ডে বিজয় নিশ্চিত করে, ওয়ান নেশন দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের শেষ সিনেট আসন জিতে নেয়। এর ফলে লেবার পার্টি প্রত্যাশিত তৃতীয় আসন পেতে ব্যর্থ হয়।
এই সাফল্যের মধ্য দিয়ে দলটি ২০১৬ সালের দ্বিগুণ বিলুপ্ত সংসদ নির্বাচনের পর পুনরায় পূর্বের অবস্থানে ফিরে এসেছে। যদিও অন্য রাজ্যগুলোতে লেবার পার্টির শক্তিশালী অবস্থান থাকায়, সরকারকে আইন পাস করতে এখন শুধুমাত্র গ্রিনস দলের সমর্থন পেলেই চলবে — কোয়ালিশনের সাথে সমঝোতার প্রয়োজন পড়বে না।
বর্তমানে ওয়ান নেশনের সিনেটর সংখ্যা সমান হল ন্যাশনাল পার্টির। নতুনভাবে নির্বাচিত এই চার সিনেটর হলেন পলিন হ্যানসন, ম্যালকম রবার্টস, নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে ওয়ারউইক স্টেসি এবং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া থেকে টাইরন হুইটেন।
AEC (Australian Electoral Commission) শুক্রবার ঘোষণা করে যে নিউ সাউথ ওয়েলসের শেষ সিনেট আসনে ওয়ারউইক স্টেসি জয়লাভ করেছেন। এর আগের দিন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার শেষ আসনে টাইরন হুইটেন নির্বাচিত হন। উভয় ক্ষেত্রে প্রথমদিকে গণনায় লেবার এগিয়ে থাকলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে ওয়ান নেশন এগিয়ে যায়।
এখন সিনেটে লেবারের ২৮টি আসন রয়েছে, যা কোয়ালিশনের চেয়ে এক বেশি। গ্রিনস দলে রয়েছে ১১ জন সিনেটর। ক্রসবেঞ্চে থাকছেন ওয়ান নেশনের চারজন সিনেটর ছাড়াও ACT-এর ডেভিড পোকক, তাসমানিয়ার জ্যাকি ল্যাম্বি ও ট্যামি টাইরেল, ভিক্টোরিয়ার লিডিয়া থর্প এবং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া থেকে রালফ বাবেট ও ফাতিমা পেম্যান।
সিনেটে কোনো আইন পাস করাতে হলে প্রয়োজন হয় ৩৯ ভোটের। অর্থাৎ, লেবার ও গ্রিনস একত্রে খুব সামান্য ব্যবধানে আইন পাসের অবস্থানে রয়েছে। যদি এই দুটি দলের কেউ একজন সিনেটর হারায় বা অনুপস্থিত থাকে, এবং কোয়ালিশন কোনো আইন বিরোধিতা করে, তবে সরকারকে ক্রসবেঞ্চের সহায়তা নিতে হবে।
সিনেটর পলিন হ্যানসন স্কাই নিউজকে বলেন, তাঁদের দল জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে অস্ট্রেলিয়ার সরে আসার পক্ষে সোচ্চার থাকবে।
তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন একটি প্রতারণা। এটি অস্ট্রেলিয়ানদের কোনও উপকারে আসছে না, বরং আরও কষ্ট ও দুর্ভোগ ডেকে আনছে।”
“আমরা আমাদের নীতিতে অটল থাকব, জনগণের পক্ষে সঠিক বিষয়গুলো তুলে ধরব, এবং সরকারকে জবাবদিহিতার মুখে দাঁড় করাব।”