মেলবোর্ন, ১৪ জুন— ইসরায়েলের ‘সুনির্দিষ্ট ও পরিকল্পিত’ হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহসহ অন্তত ২০ জন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার বিকালে রাজধানী তেহরানে আইআরজিসির একটি গোপন ভূগর্ভস্থ কমান্ড সেন্টারে বৈঠকে বসেন জেনারেল হাজিজাদেহ ও অন্যান্য শীর্ষ কমান্ডাররা। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলের ওপর পাল্টা হামলার কৌশল নির্ধারণ।
কিন্তু বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই কমান্ড সেন্টার লক্ষ্য করে বাঙ্কার-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান। এতে জেনারেল হাজিজাদেহ এবং আইআরজিসির ড্রোন ইউনিট ও এয়ার ডিফেন্স ইউনিটের প্রধানসহ ২০ জন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই হামলা ছিল তেহরানের পারমাণবিক সক্ষমতা প্রতিহত করতে একটি দীর্ঘমেয়াদী অভিযানের সূচনা।
শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ইসরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানসহ আটটি বড় শহরে ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু প্রকল্প ও সামরিক স্থাপনাসহ অন্তত ১০০টি স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটেছে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়।
ইসরায়েল, পাল্টা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে।