মেলবোর্ন, ১৫ জুন— ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান যে হামলা শুরু করেছে তা অব্যাহত থাকবে এবং সময়ের সঙ্গে তীব্র হবে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স নিউজকে এমনটাই জানিয়েছেন উচ্চপদস্থ ইরানি সামরিক কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোকেও ধ্বংস করে দেওয়া হবে- কারণ ইরানে ইসরায়েল যে আগ্রাসন চালাচ্ছে, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেও দায়ী মনে করে তেহরান।
এখন পর্যন্ত চার ধাপে ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৯০ জনেরও বেশি।
ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ঠেকানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হলেও ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা এতই বেশি ছিল যে এর অনেকগুলোকে আটকানো সম্ভব হয়নি।
তেলআবিবের পাশের শহর রামাত গানের মেয়র কারমেশ শাহা বলেছেন, “উপসাগরীয় যুদ্ধ ও অপারেশন আয়রন সোর্ডের সময়ও আমাদের শহর আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু এবারের আক্রমণের তীব্রতা ছিল আগের যেকোনো সময়ের থেকে ভিন্ন মাত্রার। আমরা এমনটা কখনোই দেখিনি।”
ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী আইআরজিসির সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান মেজর জেনারেল আহমেদ ওয়াহিদি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের নেভাতিম বিমান ঘাঁটি, ফুয়েল ট্যাংকার, ইসরায়েলি নেতা ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, ইলেকট্রনিক্স যুদ্ধ উপকরণ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও অস্ত্র উৎপাদন কারখানাগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
সৌদি আরবের সংবাদপত্রিকা আল আরাবিয়া জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে নিক্ষেপ করা হতে পারে। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, স্বল্প সময়ে এত বেশি সংখ্যক ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে সক্ষম নয়।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত পর্যবেক্ষণকারী এক্স অ্যাকাউন্ট মনিটরএক্স বিমানের ধ্বংসাবশেষের ভিডিও প্রকাশ করেছে। ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে- এটি ইসরায়েলের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান।
অপর আরেকটি ভিডিওতে একজন প্যারাট্রুপারকে আকাশে দেখা গেছে। বলা হচ্ছে, ইনিই এফ-১৬ এর পাইলট। প্রেস টিভি এর আগে একজন পাইলট আটকের দাবি করলেও ইসরায়েল তা অস্বীকার করেছে।