রিপোর্ট:
মেলবোর্ন, ২২ মে—ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের “চরম ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি”কে দায়ী করেছেন। ওই হামলায় ধর্ম নির্ধারণ করে পর্যটকদের হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
ডাচ সম্প্রচারমাধ্যম NOS-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, “পর্যটকদের তাঁদের পরিবারের সামনে হত্যা করা হয়েছে, ধর্ম যাচাই করার পর। এটি কাশ্মীরের অর্থনীতির প্রধান অবলম্বন—পর্যটন—ধ্বংসের উদ্দেশ্যে এবং ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে এখানে ধর্মীয় একটি উপাদান ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
জয়শঙ্কর আরও বলেন, “এই হামলা শুধু বিচ্ছিন্ন কোনও উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর কাজ নয়, বরং এটি পাকিস্তানের নেতৃত্বের চরম ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন, বিশেষ করে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের। তাদের আচরণ ও মতাদর্শের মধ্যে একটি স্পষ্ট যোগসূত্র রয়েছে।”
TRF-র দায় স্বীকার এবং জাতিসংঘে ভারতের প্রতিবেদন
তিনি জানান, হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং The Resistance Front (TRF)—যা লস্কর-ই-তইয়বার একটি শাখা সংগঠন—এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
জয়শঙ্করের ভাষায়, “TRF বহু বছর ধরে ভারতের নজরদারিতে রয়েছে। ২০২৩, ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে আমরা এই সংগঠনকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ নিষেধাজ্ঞা কমিটির নজরে এনেছি।”
পহেলগাম হামলার আগেই উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন আসিম মুনির
হামলার কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, যিনি সম্প্রতি ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হয়েছেন, বিতর্কিতভাবে ‘দ্বি-জাতি তত্ত্ব’কে পুনরুজ্জীবিত করেন। তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা তাদের সন্তানদের শেখান যে তারা “হিন্দুদের থেকে ভিন্ন”। কাশ্মীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি পাকিস্তানের জাগুলার ভেইন ”।
এস জয়শঙ্করের মন্তব্যে স্পষ্ট, ভারত এই হামলাকে শুধু নিরাপত্তা হুমকি নয়, বরং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছে, যার পেছনে পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্বের আদর্শগত প্রভাব রয়েছে।
মূল প্রতিবেদন: সোহিল সেহরান, হিন্দুস্তান টাইমস
অনুবাদ OTN Bangla