মেলবোর্ন, ১৭ জুন— ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে নাগরিকদের বিমানে করে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির বিমানসংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন বিদেশে আটকে পড়া ইসরায়েলিদের ফেরানোর জন্য নির্ধারিত বিমানে কেউ নাগরিককে দেশ ছাড়তে না পারে।
বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ভিড় এবং অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ওপর রকেট হামলার আশঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেজের প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে এক লাখ থেকে দুই লাখ ইসরায়েলি বিদেশে রয়েছেন। তাদের দেশে ফেরানো জরুরি। তেল আবিব অঞ্চলে সম্প্রতি ভারী রকেট হামলা হওয়ায় এই উদ্ধার ফ্লাইটগুলো বৃহস্পতিবারের আগে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
প্রস্তাবিত উদ্ধার পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, নিরাপত্তার ঝুঁকি কমানোর জন্য প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ দুইটি ফ্লাইট চলতে পারবে। যদি এই ফ্লাইটগুলো দিনে ২৪ ঘণ্টা চলতে পারে, তবে দিনে আনুমানিক ৮ হাজার ৬৪০ জনকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
তবে ইরান সাধারণত রাতের বেলা রকেট হামলা বাড়ায়, তাই বাস্তবে এসব ফ্লাইট কেবল দিনের বেলা চালানোর অনুমতি পাবে। এতে করে দিনে ফিরতে পারবেন প্রায় পাঁচ হাজার জন। যদি এক লাখ ইসরায়েলিকে ফিরিয়ে আনতে হয়, পুরো উদ্ধার অভিযান শেষ করতে অন্তত তিন সপ্তাহ লাগবে।
ইসরায়েলে আটকা ৩৫ হাজার পর্যটক
ইসরায়েল ইনকামিং ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ইয়োসি ফাত্তাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির প্রধান শমুয়েল জাকাইকে অনুরোধ করেছেন যেন ইসরায়েলে অবস্থানরত বিদেশি পর্যটকদেরও দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়। তার মতে, বর্তমানে ৩৫ হাজার পর্যটক ইসরায়েলে আছেন, যাদের অর্ধেক এখনই চলে যেতে চান।
তিনি বলেন, “সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে সরকার কেবল ইসরায়েলি নাগরিকদের ফেরাতে ফ্লাইটের পরিকল্পনা করছে। তবে যারা এখন ইসরায়েলে আছেন ও দেশ ছাড়তে চান, তাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
ফাত্তাল বলেন, এটি একটি মানবিক ও আন্তর্জাতিক মর্যাদার বিষয় এবং তার সংস্থা ইচ্ছুক পর্যটকদের তালিকা সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করবে।