৩০ মার্চ ২০২৫: শুক্রবার মিয়ানমারে আঘাত হানা ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১,৭০০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান। এরপর রোববার ম্যান্ডালয়ের কাছে আবারও ৫.১ মাত্রার নতুন একটি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছে, চিকিৎসা সরঞ্জামের মারাত্মক সংকটের কারণে ত্রাণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে এখনও ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারের কাজ চলছে।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ায় সেখানে আটকে পড়াদের উদ্ধারে জরুরি কর্মীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত শহরটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ৭৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে নির্বাসিত সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে সামরিক অভিযান “দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত” ঘোষণা করেছে।
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা মিয়ানমারে জরুরি ত্রাণ পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে পানীয় জল, খাদ্য, ওষুধ এবং অস্থায়ী আশ্রয়ের প্রয়োজনীয়তা প্রকট হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারে গত কয়েক বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যা ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো ও জনগণের দুর্ভোগকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করার চেষ্টা চলছে, তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন ও সহিংসতার কারণে অনেক এলাকায় সাহায্য পৌঁছানো চ্যালেঞ্জের মুখে। ভূমিকম্প-পরবর্তী এই সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হচ্ছে।