মেলবোর্ন, ১ জুন—গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের দেওয়া প্রস্তাবের জবাব মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জমা দিয়েছে হামাস।
শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দি গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠনটি জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় তারা ১০ জন জীবিত বন্দি এবং ১৮টি মরদেহ ফেরত দেবে। এর বদলে ইসরায়েলকে কিছু সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দিতে হবে।
মার্চ মাসের পর থেকে যুদ্ধবিরতির দিকে এটিকে সবচেয়ে বাস্তব অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। চুক্তিতে যুদ্ধ বন্ধের শর্তও রয়েছে, যা এতদিন ইসরায়েলের জন্য একটি ‘রেড লাইন’ ছিল।
হামাস এর আগে ১০ জিম্মির বদলে এক হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দাবি করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুদ্ধ ৬০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে, দীর্ঘমেয়াদি শান্তির প্রচেষ্টা জোরদার করা হবে এবং হামাস বন্দি মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েল যেন আবার হামলা না চালায়, সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা থাকবে। মার্চ মাসেও ইসরায়েল এমন একটি নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
ইসরায়েলি আলোচকরা এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন, কিন্তু হামাস প্রথম জোরালো সাড়া দেয়নি। শুক্রবার হামাস জানায়, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা নেই। আগের মানবিক প্রটোকল- যেটিতে প্রতিদিন শত শত ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করত, তাও এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।