মেলবোর্ন, ১৪ মে— ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে নিখোঁজ হওয়া এক অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক Caleb List-এর মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। তিনি বলেছেন, এই প্রতিবেদন “গভীরভাবে উদ্বেগজনক”। কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী এই তরুণ ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক সেনাদলে যোগ দিয়ে যুদ্ধ করছিলেন এবং খারকিভ অঞ্চলে নিখোঁজ হন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে গত মাসে ইজিয়ুমের কাছে রুশ গোলাবর্ষণের মুখে পড়ে তাঁর ইউনিটের ওপর হামলা হয়। এরপর থেকেই তাঁকে নিখোঁজ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই এলাকা রাশিয়া ৩ বছর ধরে নিয়মিত বোমাবর্ষণ করে আসছে।
তবে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর এক সূত্র জানিয়েছে, “তাঁর জীবিত থাকার সম্ভাবনা খুবই কম” এবং বর্তমানে ওই এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার “প্রায় অসম্ভব”।
বুধবার পার্থ থেকে প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ বলেন, “আমি ওই ব্যক্তির পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “বিদেশ দপ্তর (DFAT) যথাযথ পদ্ধতিতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।”
Caleb List গত বছর SBS-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ভর্তি হতে চেয়েছিলেন কিন্তু ব্যর্থ হন। “কয়েকবার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু বয়স কম এবং কিছু ভুল সিদ্ধান্তের জন্য বাতিল হয়েছি,” বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “আমি নতুন কিছু করতে চেয়েছিলাম… পুরনো কাজ নিয়ে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম, শুধু একজন শ্রমিক হয়ে থাকতে চাইনি।”
ইউক্রেনে যাওয়ার আগে তিনি কুইন্সল্যান্ডের ইয়ারওয়ুন রিফাইনারিতে কাজ করছিলেন। জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছিলেন, “নিজেকে চরম পর্যায়ে ঠেলে দিতে চেয়েছিলাম।”
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বুধবার বলেন, ক্যালেবের অবস্থা নিয়ে সরকার কী জানে, তা তিনি গোপনীয়তার কারণে প্রকাশ করতে পারবেন না। তবে তিনি এটুকু বলেন, “এই অঞ্চলটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। আমরা সংশ্লিষ্ট পরিবারকে কনস্যুলার সহায়তা প্রদান করছি।”
তিনি আরও বলেন, কতজন অস্ট্রেলিয়ান বর্তমানে ইউক্রেনে রয়েছেন, সে বিষয়ে তাঁর কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। “আমরা ইউক্রেনে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছি এবং এই যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য সরকার কোনওভাবে সমর্থন করে না,” বলেন তিনি।
এর আগে চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনের একই অঞ্চলে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান সেনা নিক পারসন্স নিহত হন। তিনি মাইন অপসারণকারী একটি সংস্থা Prevail Together-এর হয়ে কাজ করছিলেন।