গত সপ্তাহে মিয়ানমারে আঘাত হানা ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত ২ হাজারেরও বেশি মানুষের স্মরণে দেশটিতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। ভূমিকম্পটির তীব্রতা অনুভূত হয় প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও, যেখানে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকারী দল এখনও নিখোঁজদের খুঁজছে, তবে প্রথম ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ায় বেঁচে থাকার আশা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে।
জাতিসংঘের মতে, এই ভূমিকম্প মিয়ানমারের ইতিমধ্যেই সংকটাপন্ন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যেই ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞে বিপর্যস্ত হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। তবে সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, ভূমিকম্পের পরও সেনাবাহিনী গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল সামির ওয়ানমালির কাছাকাছি অবস্থিত মিয়ানমারের প্রাক্তন রাজধানী ম্যান্ডালয় থেকে ধ্বংসের নতুন ছবি প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) এশিয়া আঞ্চলিক পরিচালক বিবিসিকে জানিয়েছেন, সংস্থাটি মিয়ানমারে চাহিদার খুব সামান্য অংশই পূরণ করতে পারছে। তিনি বলেন, “ধ্বংসের পরিমাণ অনেক বেশি এবং এই পর্যায়ে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা কঠিন। হাজার হাজার, এমনকি লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন এবং তাদের খাদ্য, আশ্রয় বা পানীয় জলের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে জরুরি সহায়তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।”
ওয়ানমালি আরও উল্লেখ করেন, রাস্তা ও সেতু ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ডব্লিউএফপি’র কর্মীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। মোবাইল ও যোগাযোগ নেটওয়ার্কও বিচ্ছিন্ন থাকায় সহায়তা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই বিপর্যয়ের মধ্যেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি সাহায্য ও সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি করে অনুভূত হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি