মেলবোর্ন ১০ জুন
এক ম্যাচে কতো কিছুর সাক্ষী হলো টেনিস বিশ্ব। প্রত্যাবর্তনের দারুণ এক গল্প লিখা হলো। ফ্রেঞ্চ ওপেনের উন্মুক্ত যুগের ইতিহাসের দীর্ঘস্থায়ী ফাইনাল হলো।
র্যাংকিংয়ের এক ও দুই নম্বর খেলোয়াড়ের শিরোপা লড়াই। উত্তেজনাপূর্ণ, নখ কামড়ানো মুহূর্ত, রোমাঞ্চে ঠাসা এক ম্যাচ দেখার সুযোগ মিলল। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিলেন ইয়ানিক সিনার ও কার্লোস আলকারাজ। ইতিহাসের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে জন্ম দিয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছেন দুই নম্বর তারকা আলকারাজ।
প্যারিসের ফাইনালে ২-০ সেটে পিছিয়ে পড়া আলকারাজ টানা তিন সেট জিতে শিরোপা জিতে নেন। স্কোরলাইন: ৪-৬, ৬-৭, ৬-৪, ৭-৬, ৭-৬। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফ্রেঞ্চ ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। ২২ বছর বয়সেই আলকারাজের ঝুলিতে জমা হয়ে গেলো ৫টি গ্র্যান্ডস্লাম।
ইয়ানিকের টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙে দিলেন আলকারাজ। ইউএস ওপেন এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের পর এবার ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে এসে হারলেন সিনার।
ফ্রেঞ্চ ওপেনের পুরুষ এককের উন্মুক্ত যুগের আগের দীর্ঘস্থায়ী ফাইনালের রেকর্ডটি গড়েছিলেন ম্যাট ভিলেন্ডার ও গুইলের্মো ভিলাস। ১৯৮২ সালের সেই ফাইনালে দুজনের লড়াই স্থায়ী হয়েছিল ৪ ঘণ্টা ৪২ মিনিট। এদিন ৫ ঘণ্টা ২৯ মিনিট লড়াই করেছেন দুই তারকা। যা ফ্রেঞ্চ ওপেনের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ম্যাচ।
আলকারাজের সামনে অনুপ্রেরণা ছিলেন সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচ। ২০১৯ সালে উইম্বলডন ফাইনালে নোভাক জোকোভি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন। প্রথমে দুই সেট পিছিয়ে থেকে আলকারাজ ধ্বংসস্তূপে আটকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই শুরু প্রত্যাবর্তনের গল্প।
নিজের ফোরহ্যান্ডের জাদুতে তৃতীয় সেট জিতলেন। এরপর চতুর্থ সেটে ৩-৫ গেম ও ০-৪০ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকেও রক্ষা করেন তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট এবং নিয়ে গেলেন সেটটি টাইব্রেকে। সেখানেও ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতার পর পঞ্চম সেটে ম্যাচ গড়ায় সুপার টাইব্রেকে। অসাধারণ ফোরহ্যান্ড, দুটো অ্যাস এবং নিখুঁত কৌশলে ১০-২ ব্যবধানে শেষ করেন ম্যাচ। ফাইনাল জয়। হারিয়ে আনন্দে কোর্টে শুয়ে পড়লেন আলকারাজ।
নিজের দ্বিতীয় ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতলেন এই স্পেনের তারকা। এছাড়া দুটি উইম্বলডন ও একটি ইউএস ওপেন জিতেছেন ২২ বছর বয়সী আলকারাজ।