মেলবোর্ন ৩ জুন
প্রায় ১১ ঘণ্টার দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে ঢাকায় পা রাখেন হামজা চৌধুরী। ঢাকায় নামা মাত্র তাঁকে ঘিরে সংবাদমাধ্যমের ভিড় ছিল গত মার্চের মতোই। দেশে পৌঁছে বিশ্রামের সুযোগ আর পেলেন কোথায়? এ দেখা করতে আসেন, সে দেখা করতে আসেন। সব মিলিয়ে প্রথম দিনের অনুশীলনে তাঁকে দেখা যাবে কি না, একটা সংশয় কাজ করছিল।
তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে হামজা এলেন জাতীয় স্টেডিয়ামে। প্রায় দুই ঘণ্টার মতো ঘাম ঝরালেন জামাল ভূঁইয়া-তপু বর্মণদের সঙ্গে। ক্লান্তি তাঁকে একেবারেই পেয়ে বসেনি।
জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমবার হামজার অনুশীলন দেখার জন্য ফুটবলপ্রেমীদের আনাগোনা ছিল বেশ। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা রুদ্ধদ্বার অনুশীলন রাখায় তা সরাসরি দেখার সুযোগ ছিল না সাংবাদিকদের। তবে সমর্থকেরা যেখানে ফাঁক পেয়েছেন, সেখানেই উঁকি দিচ্ছিলেন বল পায়ে হামজাকে এক পলক দেখতে।
মেলবোর্ন সময় সন্ধ্যা ৭ টায় বিমানবন্দরেও এসেছিলেন ভক্ত-সমর্থকেরা। যদিও সেভাবে কাছে যাওয়ার সুযোগ পাননি। তবে টিম হোটেলে যাওয়ার আগে হামজা শুনিয়ে গেলেন ভুটান ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয়ের প্রত্যয়ের কথা। গাড়ির কাঁচ নামিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভালো সুযোগ আছে। দুটো ম্যাচই আমরা জিতব ইনশা আল্লাহ।
যদিও ৪ জুন ভুটান ম্যাচে তিনি খেলবেন কি না তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা তাঁকে আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পর্যাপ্ত সময় দিতে চান।