সিলেটে হতাশা মোড়ানো পারফরমেন্স বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের কাছে তিন উইকেটে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ব্যাটারদের ছন্নছাড়া পারফরমেন্স বল হাতে মিরাজ-তাইজুলরা চেষ্টা করেও দলকে জেতাতে পারননি। দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো রোডেশিয়ানরা।
ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর শেষ বিকেলে খানিকটা রোমাঞ্চ, সিলেট টেস্টর চতুর্থ দিন শেষে পরাজয় আর একরাশ হতাশা সঙ্গী করে মাঠ ছাড়েন শান্তরা।
চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় বলে শান্তর সুসাইডাল শট, বড় লিডের আশা শেষ করে দেয়। মেহেদি মিরাজ চার আর ছয়ে আশা দেখান। কিন্তু স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। মিরাজের বিদায়ের পরের ওভারে তাইজুল আউট। ফাইটিং টার্গেটের আশা একেবারেই শেষ।
জাকের আলী অনিক ও হাসান মাহমুদ অষ্টম উইকেটে ৯১ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন। এতে বাংলাদেশের লিড মাত্র দেড়শ ছাড়ায়। জাকরকে ভালোই সঙ্গ দেয়া হাসান মাহমুদ মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন। এর মাঝে ফিফটি তুলে নেন জাকের।
এরপর খালেদ আহমেদের বিদায়ের পর জাকের আলী শেষ ব্যাটার হিসেবে ৫৮ রান করে আউট হলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২৫৫ রানে।
১৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার বেনেট ও বেন কারান ৯৫ রান তুলে ম্যাচ জয় সহজ করে ফেলেন। বেনেট ৫৪ ও কারান ৪৪ রান করেন।
এরপর শেষ বিকেলে আলোয় জিম্বাবুয়েকে চাপে ফেলে দেন দুই স্পিনার মিরাজ ও তাইজুল। তাদের দারুণ বোলিংয়ে ১৬১ রানে ৭ উইকেট হারায় সফরকারীরা। দুই ইনিংসে ১০ উইকেট তুলে নিয় টেস্টে বাংলাদেশে তৃতীয় বোলার হিসেবে ২শ উইকেটের মাইল ফলক স্পর্শ করেন মেহেদী মিরাজ। রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১৭৪ রান তুলে জয়ের রেকর্ড গড়ে জিম্বাবুয়ে।